Friday, March 17, 2017

তারাভরা আকাশের খোঁজে

তারাভরা আকাশের খোঁজে
তারাভরা আকাশের খোঁজে
লিখেছেনঃ মুহাইমিনুল ইসলাম অভী

আস্তে আস্তে চোখ খুললো রুমেল। সারা শরীরে ব্যথা করছে। হঠাৎ করে পড়ে যাওয়াতে মাথায় ব্যথা লেগেছে। জায়গাটা দপদপ করছে। রাতের আকাশে তারা দেখা রুমেলের অনেক পুরনো অভ্যাস। মাঝরাতের এক থেকে দুই ঘন্টা পর সে ছাদে ওঠে আসে রাতের তারা দেখার জন্য। এটা এক প্রকার নেশা হয়ে গেছে তার।অন্যান্য দিনের মত আজও তারা দেখার জন্য ছাদে এসেছিলো ও।আকাশ পরিষ্কার থাকায় তারাগুলো স্পষ্টভাবে ফুটে রয়েছে।কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো। ও শুধু বুঝতে পারলো ও ছাদে লুটিয়ে পড়ছে।এরপর সব অন্ধকার।

শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসে রুমেল। রাত কয়টা বাজে এখন? ভোর হতে কত দেরি?উঠে ছাদের কোনার দিকে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে যায় সে। এ কোন অদ্ভুত প্রাণী। মাথাটা বেলুন ফুলালে যেরকম লাগে ঠিক সেইরকম। চোখগুলো ঘোলাটে কিন্তু বড়।মুখ নাক কিছুই নেই। হাতগুলো বেশ ছোট ছোট সেই তুলনায় পাগুলো বেশ লম্বা।
হঠাৎ প্রাণীটা নড়ে ওঠলো। আশ্চর্য ব্যাপার ওর মুখ না থাকলেও কীভাবে যেন কথা বলছে? আর রুমেলেরও মুখ নাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। কি এক আশ্চর্য উপায়ে ওদের যোগাযোগ হচ্ছে।
রুমেল আমরা তোমাকে এক সপ্তাহ যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি। বলছে প্রাণীটা। এই গ্রহের মানুষ নিয়ে আমাদের গবেষণায় সাহায্য করার জন্য তোমাকে যেতে হবে আমাদের সাথে। আমরা এসেছি এক্সথ্রিফাইভ গ্রহ থেকে।
এবার রুমেল বলছে আমরা কথা বলছি কীভাবে? কারো তো মুখ নড়ছে না।
আমি তোমার মস্তিষ্কের নিউরণের কোডের মাধ্যমে তোমার তৈরী কথা বুঝতে পারছি এবং তা তোমার মুখ দিয়ে বের হবার আগেই ধ্বংস করে দিচ্ছি। এবার চলো।
কোথায় যাবো?
আমাদের গ্রহে।
কেন?
ওনাকে তোমার শরীর, মস্তিষ্ক এসব নিয়ে গবেষণা করা হবে।
না,আমি যাবো না। আমি এইখানেই ভালো আছি।
যেতে তোমাকে হবেই।
না আমি যাবো... কথা শেষ করতে পারলো না রুমেল। ওর শরীরের কোন কিছু কাজ করছে না। শুধু চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছে ওকে ধোয়ার এক কুন্ডলীর ভেতর করে অতি ঠান্ডা এক রুমে ঢুকানো হচ্ছে। চারদিকে তীব্র আলো।
রুমেলের মস্তিষ্ক তখন ভাবছে আবার কি এই গ্রহে আসতে পারবো? আবার কি দেখতে পাবো তারাভরা আকাশ?

ওর চিন্তাধারা বুঝতে পেরে অদ্ভুত প্রাণীটাও বিচিত্র ভঙ্গিতে তারাজ্বলা আকাশের দিকে তাকা

No comments:

Post a Comment