Friday, March 17, 2017

প্রিয়াংকা তাড়াতাড়ি ভার্সিটি আসল।

প্রিয়াংকা তাড়াতাড়ি ভার্সিটি আসল। আসিফ ভার্সিটির বারান্দাতে হাটাহাটি করছে। প্রিয়াংকাকে দেখতে পেয়ে ডাক দিল।

-কি ব্যাপার, কলেজে আসতে বললি যে।
-তোর নোট খাতা ফেরত দিতে।
-আমি কি তোর কাছে চাইছি?
-না, তবে নিয়ে নে। পরে কিন্তু আর পাবি না।
-ক্যান? আজকাল নোট খাতা দিয়ে বিড়ি খাস নাকি?!!
-হাহাহা, আর বিড়ি খাই না। এখন বোতল ধরব ভাবছি।
-ধরে এমন পিটন লাগাব যে বুঝবি।
-মারিস না, মারিস না। মার খেয়ে মরে গেলে কি করবি তখন?
-ধূর বাদ দে। নোট খাতা দেওয়ার জন্যে তো আসতে বলিস নি। এখন আসল কারণ বল।
-নোট খাতা দেওয়ার জন্যও ডাকছি। কাল নিউ-ইর্য়ক যাচ্ছি। তাই তোর সাথে দেখাও করে নিলাম।

প্রিয়াংকা বুঝতে পারল, আসিফ ফাজলামি করছে না। সে ফাজলামি করলে মুখে হাসি থাকে। এখন কেমন সিরিয়াস হয়ে আছে। প্রিয়াংকা বলল,

-আগে বলিসনি কেন?
-তুই যদি মন খারাপ করিস তাই।
-আমি মন খারাপ করব কেন? ভাল খবর তো।
-ও
-শুধু ও করিস না। গিয়ে ভাল করে পড়া, লিখা করবি। সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে লাড্ডু খাবি।
-হুমম। -আর মেয়েদের পিছনে ঘুরবি না। ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করবি। ঠিক আছে?
-আমি তো মেয়েদের পিছনে ঘুরি না।
-জানি। তাও বলে দিলাম।
-তুই ও ভাল থাকিস।
-হুমম। কখন রওনা দিবি?
-আর ২ ঘন্টা পর।
-আচ্ছা যা, গুড লাক।

প্রিয়াংকাকে ফেলে আসিফের যেতে কেমন যেন লাগছে। আর একটু যদি বসে থাকা যেত! প্রিয়াংকাকে অনেক মিস করবে সে। খুব ভাল একটা বন্ধু। মাঝে মাঝে বন্ধুর চেয়েও বেশী মনে হয়। মনে হচ্ছে সব ছেড়ে ফেলে প্রিয়াংকার হাত ধরে দূরে কোথাও চলে যায়। যেখানে আর কেউ আসবে না। কিন্তু তা সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে তার মনে হয় কেন এসব শুধু গল্পেই সম্ভব? বাস্তবে হলে কি খুব এটা ক্ষতি হত?

এরকম হল কেন? আসিফ চলে গেলে প্রিয়াংকা কি করবে? আর কি সেই সব দিন আসবে! কত মজা করেছে তারা। এই ক্যাম্পাস ঘিরে অনেক স্মৃতি। প্রিয়াংকার কাছে সব কিছু খাপ-ছাড়া লাগছে। কেমন যেন এলোমেলো। আর একবার আসিফের হাতটি ধরে বেড়াতে ইচ্ছা হচ্ছে। মনে হচ্ছে ছুটে গিয়ে আসিফকে আটকায়। কিন্তু প্রিয়াংকা জানে এটি সম্ভব নয়।

আকাশটা আজ মেঘে ভরপুর। খুব বাতাস হচ্ছে। বৃষ্টি হবে মনে হয়। বেশী বাতাস প্রিয়াংকার চোখে লাগলে বড় বড় পাপড়িগুলো কাঁপে। মাঝে মাঝে চোখে পানিও আসে। এখন প্রিয়াংকার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। প্রিয়াংকা চাচ্ছে বৃষ্টিটা শুরু হোক। তার চোখও ভিজুক। যেন কেউ কিছু বুঝতে না পারে...

লিখেছেনঃ প্রিয়াংকা তাড়াতাড়ি ভার্সিটি আসল। আসিফ ভার্সিটির বারান্দাতে হাটাহাটি করছে। প্রিয়াংকাকে দেখতে পেয়ে ডাক দিল।

-কি ব্যাপার, কলেজে আসতে বললি যে।
-তোর নোট খাতা ফেরত দিতে।
-আমি কি তোর কাছে চাইছি?
-না, তবে নিয়ে নে। পরে কিন্তু আর পাবি না।
-ক্যান? আজকাল নোট খাতা দিয়ে বিড়ি খাস নাকি?!!
-হাহাহা, আর বিড়ি খাই না। এখন বোতল ধরব ভাবছি।
-ধরে এমন পিটন লাগাব যে বুঝবি।
-মারিস না, মারিস না। মার খেয়ে মরে গেলে কি করবি তখন?
-ধূর বাদ দে। নোট খাতা দেওয়ার জন্যে তো আসতে বলিস নি। এখন আসল কারণ বল।
-নোট খাতা দেওয়ার জন্যও ডাকছি। কাল নিউ-ইর্য়ক যাচ্ছি। তাই তোর সাথে দেখাও করে নিলাম।

প্রিয়াংকা বুঝতে পারল, আসিফ ফাজলামি করছে না। সে ফাজলামি করলে মুখে হাসি থাকে। এখন কেমন সিরিয়াস হয়ে আছে। প্রিয়াংকা বলল,

-আগে বলিসনি কেন?
-তুই যদি মন খারাপ করিস তাই।
-আমি মন খারাপ করব কেন? ভাল খবর তো।
-ও
-শুধু ও করিস না। গিয়ে ভাল করে পড়া, লিখা করবি। সারাদিন ঘোরাঘুরি করলে লাড্ডু খাবি।
-হুমম। -আর মেয়েদের পিছনে ঘুরবি না। ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করবি। ঠিক আছে?
-আমি তো মেয়েদের পিছনে ঘুরি না।
-জানি। তাও বলে দিলাম।
-তুই ও ভাল থাকিস।
-হুমম। কখন রওনা দিবি?
-আর ২ ঘন্টা পর।
-আচ্ছা যা, গুড লাক।

প্রিয়াংকাকে ফেলে আসিফের যেতে কেমন যেন লাগছে। আর একটু যদি বসে থাকা যেত! প্রিয়াংকাকে অনেক মিস করবে সে। খুব ভাল একটা বন্ধু। মাঝে মাঝে বন্ধুর চেয়েও বেশী মনে হয়। মনে হচ্ছে সব ছেড়ে ফেলে প্রিয়াংকার হাত ধরে দূরে কোথাও চলে যায়। যেখানে আর কেউ আসবে না। কিন্তু তা সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে তার মনে হয় কেন এসব শুধু গল্পেই সম্ভব? বাস্তবে হলে কি খুব এটা ক্ষতি হত?

এরকম হল কেন? আসিফ চলে গেলে প্রিয়াংকা কি করবে? আর কি সেই সব দিন আসবে! কত মজা করেছে তারা। এই ক্যাম্পাস ঘিরে অনেক স্মৃতি। প্রিয়াংকার কাছে সব কিছু খাপ-ছাড়া লাগছে। কেমন যেন এলোমেলো। আর একবার আসিফের হাতটি ধরে বেড়াতে ইচ্ছা হচ্ছে। মনে হচ্ছে ছুটে গিয়ে আসিফকে আটকায়। কিন্তু প্রিয়াংকা জানে এটি সম্ভব নয়।

আকাশটা আজ মেঘে ভরপুর। খুব বাতাস হচ্ছে। বৃষ্টি হবে মনে হয়। বেশী বাতাস প্রিয়াংকার চোখে লাগলে বড় বড় পাপড়িগুলো কাঁপে। মাঝে মাঝে চোখে পানিও আসে। এখন প্রিয়াংকার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। প্রিয়াংকা চাচ্ছে বৃষ্টিটা শুরু হোক। তার চোখও ভিজুক। যেন কেউ কিছু বুঝতে না পারে...

লিখেছেনঃ Sadik Awal

No comments:

Post a Comment