ღভালোবাসার লাল গালিচা সংবর্ধনাღ
ღভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ গল্প-০৫ღ
ভালোবাসার লাল গালিচা সংবর্ধনা
লিখেছেন- মোঃ মাসুদ রানা
............................................................।।
“তুজে দেখা তোয়ে জানা না সানাম
পেয়ার হোতা হে দিওয়ানা সানাম”
এই রানা উঠ আর কত ঘুমাবি।লেখা-পড়া নাই সারাদিন টই টই কইরা টোটো কোম্পানির চাকরী করছ।রাতে কি চুরি করছস।
এই অসাম গানের সাথে আমার লাইলী কে নিয়া সপ্ন দেখতেছিলাম বাবা এসে ঘুম ভেঙ্গে দিল।
(বাবা তুমি কি বুঝবা নিজের প্রেম তো ঠিকি করছ,নিজেও তো লাইন মারছ মা তো আমাকে বলছে)
আমার মা-বাবার লাভ মেরেজ।
যাই হোক বাবা আমাকে সকাল সকাল বাজার করতে বলছে। কানে বিশ্বাস করতে পারলাম না। আমাকে বাজার করতে পাঠাবে।যাক পকেটে আরো কিছু টাকা আসবে আগামী কাল ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবস আমার জানেমান লাইলী কে নিয়া ঘুরতে পারুম।তারাতারি ফ্রেশ হয়ে ছুটলাম বাজারের দিকে।এমন সময়ে মোবাইলে কল।
আমার জান কল দিয়েছে।
রানা তুমি কোথায়?কাল তোমার জন্য একটা চমক আছে এখন বলব না।
আরে বলবা না তো এখন বললা কেন।আর পারি না তোমাকে নিয়া।আমারে জানের নাম তুষা।
কত কি প্লেন করি রেখিছি কাল কি করব।ফুচকা খাব, ঘাস দিয়ে বানানো একটা পায়েল ওকে পরিয়ে দিব।
বাজার শেষ করে বাসায় আসলাম। দেখি বাবা রিক্সা থেকে নামছে।বাবার হাতে শপিং বেগ।বাসায় ঢুকে দেখি মা এর জন্য নতুন শাড়ী ও নিজের জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনেছে।
বুজতে পারলাম না কিছুই।যাই হোক কাল বাসা থেকে সকাল সকাল বের হতে হবে।
রাতে খাবার পর ঘুমাতে যাব এমন সময় বাবা এসে আমাকে বলল।
রানা কাল সারাদিন বাসায় থাকিস তো আমি আর তোর মা একটু বের হব রাত হবে ফিরতে।তোদের খালামণিদের বাসায় যাব। রাহুল কে স্কুল থেকে নিয়ে যাবি আর নিয়ে আসবি।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল।আমি তো কাল আমার লাইলি কে কথা দিছি ওরে নিয়া সারাদিন ঘুরব।
কি করব কি করব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে চিন্তায় একাই ঘুম ভেঙ্গে গেল।
যাই হোক আমি একটা অসাধারন ব্যবস্থা করে ফেললাম।রাহুলকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে সকাল সকাল বের হয়ে গেলাম বাসার চাবিটা হাতে নিয়ে।রাহুল আবার স্কুল এ যেতে পছন্দ করে না।মা-বাবা বের হয়ে যাবার পর আমি রাহুল কে নিয়ে বাসায় এসে পরলাম। রাহুল তো বেজায় খুশি তার স্কুল এ যেতে হবে না।আমি পাশের বাসার ছোট পিচ্চি মেয়েটাকে এনে দিয়ে গেলাম রাহুলের সাথে খেলার জন্য।
।আমি তুষাকে ফোন দিয়ে বললাম তুমি বিকাল ৩ টায় টিএসসিতে আসবে।
আলমারি থেকে একটা লাল পাঞ্জাবি বের করলাম। আর ২ টায় বের হয়ে পরলাম।
যাক ভালই ভালই হচ্ছে সব।তুষার জন্য কতগুলো লাল গোলাপ কিনলাম।আমি পার্কে ঢুকার পর দেখি তুষা বসে আছ।
আমি অনেক অবাক হইলাম।ও একটা নীল শাড়ী পরে আছে। আজ পর্যন্ত কোনদিন তুষা শাড়ি পরেনি। শাড়ি আমার কাছে অনেক পছন্দ। ও কে আমি অনেক বার বলেছি শাড়ী পরার জন্য।আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠল।
তুষার পাশে বসলাম এবং তাকে মন ভরে দেখতে লাগলাম।
ঠিক যেন আমার অপরুপ সুন্দরী বউ।
আমি তুষাকে লাল গোলাপ গুলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমার পকেটে রাখা ওর জন্য ঘাসের পায়েল টা পড়িয়ে দিয়ে বললাম
"Love is like a portrait in my mind that transforms into a person whenever I see you. My Valentine."
তুষা প্রায় কেদেই দিল।আমি ওর চোখের পানি মুছতে লাগলাম।
চোখের পানি মুছার পর আমার মাথা টা উপরের দিকে তুলে তো আমি অবাক।তুষার পিছনে বাবা দাঁড়িয়ে আছে।
বা...............বাবা তুমি এখানে? মা তো পাশে থেকে মুচকি মুচকি হাসতেছে।
তাহলে কি আজ মা-বাবা তাদের ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে বের হয়েছে?
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। মা বাবার হাত টেনে পার্কের বাহিরে উদ্দ্যেশে যেতে থাকল।বাবা আমাকে বলছে বাবা বাসায় আসো তোমার জন্য আমার লাল গালিচা অসাধারন সংবর্ধনা আছে।তারাতারি চলে এসো।
ভালো লাগলে লাইক দিয়ে আপনাদের মতামত জানান
লেখক/এডমিন>মোঃমাসুদ রানা
ღভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ গল্প-০৫ღ
ভালোবাসার লাল গালিচা সংবর্ধনা
লিখেছেন- মোঃ মাসুদ রানা
............................................................।।
“তুজে দেখা তোয়ে জানা না সানাম
পেয়ার হোতা হে দিওয়ানা সানাম”
এই রানা উঠ আর কত ঘুমাবি।লেখা-পড়া নাই সারাদিন টই টই কইরা টোটো কোম্পানির চাকরী করছ।রাতে কি চুরি করছস।
এই অসাম গানের সাথে আমার লাইলী কে নিয়া সপ্ন দেখতেছিলাম বাবা এসে ঘুম ভেঙ্গে দিল।
(বাবা তুমি কি বুঝবা নিজের প্রেম তো ঠিকি করছ,নিজেও তো লাইন মারছ মা তো আমাকে বলছে)
আমার মা-বাবার লাভ মেরেজ।
যাই হোক বাবা আমাকে সকাল সকাল বাজার করতে বলছে। কানে বিশ্বাস করতে পারলাম না। আমাকে বাজার করতে পাঠাবে।যাক পকেটে আরো কিছু টাকা আসবে আগামী কাল ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবস আমার জানেমান লাইলী কে নিয়া ঘুরতে পারুম।তারাতারি ফ্রেশ হয়ে ছুটলাম বাজারের দিকে।এমন সময়ে মোবাইলে কল।
আমার জান কল দিয়েছে।
রানা তুমি কোথায়?কাল তোমার জন্য একটা চমক আছে এখন বলব না।
আরে বলবা না তো এখন বললা কেন।আর পারি না তোমাকে নিয়া।আমারে জানের নাম তুষা।
কত কি প্লেন করি রেখিছি কাল কি করব।ফুচকা খাব, ঘাস দিয়ে বানানো একটা পায়েল ওকে পরিয়ে দিব।
বাজার শেষ করে বাসায় আসলাম। দেখি বাবা রিক্সা থেকে নামছে।বাবার হাতে শপিং বেগ।বাসায় ঢুকে দেখি মা এর জন্য নতুন শাড়ী ও নিজের জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনেছে।
বুজতে পারলাম না কিছুই।যাই হোক কাল বাসা থেকে সকাল সকাল বের হতে হবে।
রাতে খাবার পর ঘুমাতে যাব এমন সময় বাবা এসে আমাকে বলল।
রানা কাল সারাদিন বাসায় থাকিস তো আমি আর তোর মা একটু বের হব রাত হবে ফিরতে।তোদের খালামণিদের বাসায় যাব। রাহুল কে স্কুল থেকে নিয়ে যাবি আর নিয়ে আসবি।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল।আমি তো কাল আমার লাইলি কে কথা দিছি ওরে নিয়া সারাদিন ঘুরব।
কি করব কি করব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে চিন্তায় একাই ঘুম ভেঙ্গে গেল।
যাই হোক আমি একটা অসাধারন ব্যবস্থা করে ফেললাম।রাহুলকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে সকাল সকাল বের হয়ে গেলাম বাসার চাবিটা হাতে নিয়ে।রাহুল আবার স্কুল এ যেতে পছন্দ করে না।মা-বাবা বের হয়ে যাবার পর আমি রাহুল কে নিয়ে বাসায় এসে পরলাম। রাহুল তো বেজায় খুশি তার স্কুল এ যেতে হবে না।আমি পাশের বাসার ছোট পিচ্চি মেয়েটাকে এনে দিয়ে গেলাম রাহুলের সাথে খেলার জন্য।
।আমি তুষাকে ফোন দিয়ে বললাম তুমি বিকাল ৩ টায় টিএসসিতে আসবে।
আলমারি থেকে একটা লাল পাঞ্জাবি বের করলাম। আর ২ টায় বের হয়ে পরলাম।
যাক ভালই ভালই হচ্ছে সব।তুষার জন্য কতগুলো লাল গোলাপ কিনলাম।আমি পার্কে ঢুকার পর দেখি তুষা বসে আছ।
আমি অনেক অবাক হইলাম।ও একটা নীল শাড়ী পরে আছে। আজ পর্যন্ত কোনদিন তুষা শাড়ি পরেনি। শাড়ি আমার কাছে অনেক পছন্দ। ও কে আমি অনেক বার বলেছি শাড়ী পরার জন্য।আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠল।
তুষার পাশে বসলাম এবং তাকে মন ভরে দেখতে লাগলাম।
ঠিক যেন আমার অপরুপ সুন্দরী বউ।
আমি তুষাকে লাল গোলাপ গুলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমার পকেটে রাখা ওর জন্য ঘাসের পায়েল টা পড়িয়ে দিয়ে বললাম
"Love is like a portrait in my mind that transforms into a person whenever I see you. My Valentine."
তুষা প্রায় কেদেই দিল।আমি ওর চোখের পানি মুছতে লাগলাম।
চোখের পানি মুছার পর আমার মাথা টা উপরের দিকে তুলে তো আমি অবাক।তুষার পিছনে বাবা দাঁড়িয়ে আছে।
বা...............বাবা তুমি এখানে? মা তো পাশে থেকে মুচকি মুচকি হাসতেছে।
তাহলে কি আজ মা-বাবা তাদের ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে বের হয়েছে?
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। মা বাবার হাত টেনে পার্কের বাহিরে উদ্দ্যেশে যেতে থাকল।বাবা আমাকে বলছে বাবা বাসায় আসো তোমার জন্য আমার লাল গালিচা অসাধারন সংবর্ধনা আছে।তারাতারি চলে এসো।
ভালো লাগলে লাইক দিয়ে আপনাদের মতামত জানান
লেখক/এডমিন>মোঃমাসুদ রানা
No comments:
Post a Comment