Saturday, November 18, 2017

তোমার হাসিতে বধু

তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়

পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
আধো খানি চাঁদ ওই সারারাত জাগে
হৃদয়ের ঘরে তারি ছোঁয়া লাগে
এমনো হবে তা বুঝিনি তো আগে
নিজেকে হারাবো আমি এত অনুরাগে হায়...
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
সোহাগেরই সুরে বুকে বাজে বীণা
মনে মনে শুনি কানে তো শুনি না
বুঝেও তো আমি কিছুতে বুঝিনা
কোনো ভালবাসা এসে গেল কিনা হায়...
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
Report a problem

Thursday, November 16, 2017

book

লেখক: মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ



অনুবাদক: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ



সম্পাদক: আবু তাসমিয়াহ আহমেদ রফিক, সানজিদা শারমিন



প্রকাশক: সিয়ান পাবলিকেশন



সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য: ১১০৳

আরকাম লাইব্রেরি, ম্যাগনোলিয়া টাওয়ার, সেনপাড়া পর্বতা, মিরপুর-১০; ০১৬৮৩


৭০০৬৮৮।

Friday, August 4, 2017

আজ শ্রাবনের

আজ শ্রাবণের বাতাস বুকে, এ কোন সুরে গায়

আজ বরষা, নামলো সারা আকাশ আমার পায়

 

আজ শুধু মেঘ সাজাই মেঘে, আজ শুধু মেঘ বুকে

আজ শুধু বিষ ঢালবে আকাশ, বিষ মেশানোর সুখে

 

দাও ঢেলে দাও যে প্রেম আমার হৃদয় জ্বলে যায়

আজ বরষা নামলো সারা আকাশ আমার পায়
 

দিগন্ত লীন মাঠের উপর থাকছি আমি শোয়ে

এই কপালের সমস্ত তাপ বর্ষা দেবে ধোঁয়ে

 

এর বেশী কি পাওয়ার থাকে, এর বেশী কে চায়

আজ বরষা নামলো সারা, আকাশ আমার পায়

 

আজ শ্রাবণের বাতাস বুকে, এ কোন সুরে গায়

আজ বরষা, নামলো সারা আকাশ আমার পা

কে প্রথম কাছে এসেছি

কে প্রথম কাছে এসেছি?

কে প্রথম চেয়ে দেখেছি?

কিছুতেই পাই না ভেবে-

কে প্রথম ভালবেসেছি?

তুমি-? না আমি-?

কে প্রথম কাছে এসেছি?

কে প্রথম চেয়ে দেখেছি?

কিছুতেই পাই না ভেবে-

কে প্রথম ভালবেসেছি?

তুমি-? না আমি-?

ডেকেছি কে আগে?

কে দিয়েছে সারা?

কার অনুরাগে-

কে গো দিশাহারা?

ডেকেছি কে আগে?

কে দিয়েছে সারা?

কার অনুরাগে-

কে গো দিশাহারা?

কে প্রথম মন জাগানো-

সুখে হেসেছি?

তুমি-? না আমি-?
কে প্রথম কাছে এসেছি?

কে প্রথম চেয়ে দেখেছি?

কিছুতেই পাই না ভেবে-

কে প্রথম ভালবেসেছি?

তুমি-? না আমি-?

কে প্রথম কথা দিয়েছি?

দুজনের এ দুটি হৃদয়

একাকার করে নিয়েছি ।

শুরু হল কবে

এত চাওয়া পাওয়া-

একই অনুভবে

একই গান গাওয়া-

শুরু হল কবে

এত চাওয়া পাওয়া-

একই অনুভবে

একই গান গাওয়া-

কে প্রথম মন হারানো

স্রোতে ভেসেছি?

তুমি-? না আমি-?

Wednesday, August 2, 2017

এ তুমি কেমন তুমি চোখের তারায় আয়না ধর


এ তুমি কেমন তুমি চোখের তারায় আয়না ধর
এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর

জন্মের আগেও জন্ম পরেও জন্ম তুমি এমন
সুরের ও গভীর সুরে পদাবলীর ধরন যেমন

কথা নয় নিরবতায় সজলতার আখর ভর
এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর

এ তুমি কেমন তুমি চোখের তারায় আয়না ধর
এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর

এসেছি আগেও আমি যখন তুমি পদ্মাবতী
কবেকার পুঁথির শোলোক তোমার মতই অশ্রুমতী

অশ্রুর একটি ফোঁটায় জন্ম আমার আমার মরন
নীরবে জাতিস্মরের গল্প বলাই আমার ধরন

ঝরেছ বৃষ্টি হয়ে আগেও তুমি আবার ঝর
এ কেমন কান্না তুমি আমায় যখন আদর কর

ওগো আবার নতুন করে

ওগো আবার নতুন করে

ভুলে যাওয়া নাম ধরে ডেকো না

হারানো স্বপন চোখে একো না।।
ঝরা মালা বুকে তুলে নিয়ে

স্মৃতির সুরভী ঢেলে দিয়ে

ফাগুনের গান মনে রেখো না

হারানো স্বপন চোখে একো না।।
আবার মাধবীলতা বাতাসে

চেয়ো না ওগো দোলাতে।

যে ব্যাথা নিয়েছি মেনে

অকারণে এসো না তা ভোলাতে
যে আশা হয়েছে ওগো মিছে

শুধু আলেয়ার পিছে পিছে।

সমব্যাথা দিয়ে তারে রেখো না

হারানো স্বপন চোখে একো না।।
Transliteration

Tuesday, August 1, 2017

দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাক।

দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাক।
এই দুনিয়া ঘুরে বনবন বনবন
ছন্দে ছন্দে কত রঙ বদলায়
রঙ বদলায় ।
কখনও পিঙ্গল, কখন সবুজ,
কখন বুঝি আর কখন অবুঝ।
হৃদয় দিলে যার হৃদয় মেলে
হৃদয় যাবে সে কাল, পথে ফেলে ।
গোলক ধাঁধারে ভাই, তাই লেগেছে তাক ।
ও এই ঘুরন্ত নাগর দোলায়
কখন কাঁদায় আর কখন ভুলায় ।
কখন সাদা আর কখন কালো
কখন মন্দ যে কখন ভালো ।
জীবন জুয়ায় বীর জিতে গেলে,
বোকার হদ্দ যদি হেরে গেলে ।
কপাল মন্দ আজ, কাল চিচিং ফাঁক।
এই দুনিয়া ঘুরে বনবন বনবন
ছন্দে ছন্দে কত রঙ বদলায়
রঙ বদলায় ।

Sunday, July 30, 2017

বল মন সুখ বল

বল মন সুখ বল
বলে চল অবিরল
তোর সুখ নামে যদি
সুখ আসে জীবনে
বল মন বলে চল
না ভেবেই ফলাফল
যদি তোর ডাকে
বসন্ত আসে শ্রাবনে...
বল মন প্রেম বল
প্রেমহীন জীবনে
জীবনে না থাকুক
প্রেম থাকুক স্বপনে
ওরে বল মন বল
যে জানে সে জানে
একা তুই ই সম্বল...
দুটি চোখ ঢাকে যদি আঁধার..
আসে যদি বাঁধা আবার আবার...
যুগ যুগ ধরে তোর পথ চলা
পথেরি ধুলোতে খোঁজা সিংহদ্বার..
তবু পথ আরো পথ
শুনি জীবন নাকি...
ঝড়া ফুল সঙ্গী
আরো কতো যে বাকি..
জানিনা এ অসনির আভাস
ভোরের ই আকাল ভুলেছে বিভাস
বাতাসের বাঁশি কই সুর ছড়াই..
নিথর বনানি ছড়া দীরঘশ্বাস
তবু পথ আরো পথ
শুনি জীবন নাকি..
ঝড়া ফুল সঙ্গী
আরো কত যে বাকি..

যা যা ফেরারী মন

যা যা ফেরারী মন
ছেড়ে স্মৃতির কোন
সব পাখি উড়েযায় যে অজানায়
সে অজানারি ডানায়
ফের এক অধ্যায়
লেখা হোক ফুলের পাতায়
পাতায়
যা যা ফেরারী মন
ছেড়ে ধূসর স্মৃতির কোন
হয়নি হয়নি জানা কখন ভীজেছে ডানা
শেষ খেয়া ফিরে গেছে কখন
আকাশ ডাকে আয়রে আয়রে আয়
বাউল মন ভাসুক দখিনায়
গোধূলি আকাশ স্বাধীন এখন
যা যা ফেরারী মন
হয়তো সময় হল এখন
এসেছে উড়ার ডাক
সবকিছু পরে থাক

Sunday, July 23, 2017

তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া ..

তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া .......(2)
তুমি তাই দু হাত ভরে দিলে আগুন উজাড় করে
সেকি তোমার অহংকার
তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া
তুমি চাও বাওল বাতাস কিংবা হঠাত্ সর্বনাশা আগুন খেলা
শান্তো আকাশে তখন সাজের বেলা........(2)
এমনি তোমার ইচ্ছে চলায় যায় ভেসে যায় পাগল পারা
তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া
যদি ধরো যে তার বাজি আমি হেরেই যেতে রাজি ...(2)
কখনো কী শুন্যো মন অরণ্য কোনে হওনি নিজের মুখোমুখি
ভালোবাসার আধার তোমায় পোরায় নি কী.... (2)
সে আঁধারে তুমি কী আমার অহংকারের পাও নি সারা
তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া
তুমি তাই দু হাত ভরে দিলে আগুন উজাড় করে
সেকি তোমার অহংকার
তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া
তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে কৃষ্ণচুড়া

Sunday, July 9, 2017

কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা

কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
দ্বিধাহিন স্বপ্ন সুনির্বিড় হয়ে সুনিবিড় জিজ্ঞাসা
কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
দ্বিধাহিন স্বপ্ন সুনির্বিড় হয়ে সুনিবিড় জিজ্ঞাসা
তোর হল্লা দুটি চোখ চেয়ে আছে রে পথ

সেই পথেই আছে মুক্তি মহাকালের রথ
তাই প্রতিক্ষা তোর গানে
তোর অঘোষিত তানে পায় ভাষা
কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
দ্বিধাহিন স্বপ্ন সুনির্বিড় হয়ে সুনিবিড় জিজ্ঞাসা
...
বুঝে নে রে মন বুঝে নে রে মন নিসাব কোনদিনও
বলে দে রে মন সবকিছুকেই কোন ভাবে যায় না কেনা
বুঝে নে রে মন বুঝে নে রে মন নিসাব কোনদিনও
বলে দে রে মন সবকিছুকেই কোন ভাবে যায় না কেনা
তাই আকাশে ছড়িয়ে দে রে তোর অভিমত
সেই পথেই আছে মুক্তি মহাকালের রথ
তাই প্রতিক্ষা তোর গানে
তোর অঘোষিত তানে পায় ভাষা
কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
দ্বিধাহিন স্বপ্ন সুনির্বিড় হয়ে সুনিবিড় জিজ্ঞাসা
...
ডেকে নে রে মন ডেকে নে রে তোর বলার ছন্দে তাকে
আধারে নিস্তব্ধ পথে দেখেছিলিস যাকে
ডেকে নে রে মন ডেকে নে রে তোর বলার ছন্দে তাকে
আধারে নিস্তব্ধ পথে দেখেছিলিস যাকে
ভুল পথের ধুলোয় চেনা সুখ চেনা গথ
সেই পথেই আছে মুক্তি মহাকালের রথ
তাই প্রতিক্ষা তোর গানে
তোর অঘোষিত তানে পায় ভাষা
কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
দ্বিধাহিন স্বপ্ন সুনির্বিড় হয়ে সুনিবিড় জিজ্ঞাসা
তোর হল্লা দুটি চোখ চেয়ে আছে রে পথ
সেই পথেই আছে মুক্তি মহাকালের রথ
তাই প্রতিক্ষা তোর গানে
তোর অঘোষিত তানে পায় ভাষা
কোথা পাবি ওরে মন আমার মন ভালবাসা
দ্বিধাহিন স্বপ্ন সুনির্বিড় হয়ে সুনিবিড় জিজ্ঞাসা
মোঃ মুশফিকুজ্জামান রায়হান
জঙ্গল বাধাল, যশোর।

যা যা ফেরারী মন

যা যা ফেরারী মন
ছেড়ে স্মৃতির কোন
সব পাখি উড়েযায় যে অজানায়
সে অজানারি ডানায়
ফের এক অধ্যায়
লেখা হোক ফুলের পাতায়
পাতায়
যা যা ফেরারী মন
ছেড়ে ধূসর স্মৃতির কোন
হয়নি হয়নি জানা কখন ভীজেছে ডানা
শেষ খেয়া ফিরে গেছে কখন
আকাশ ডাকে আয়রে আয়রে আয়
বাউল মন ভাসুক দখিনায়
গোধূলি আকাশ স্বাধীন এখন
যা যা ফেরারী মন
হয়তো সময় হল এখন
এসেছে উড়ার ডাক
সবকিছু পরে থাক

Saturday, July 8, 2017

আজ বছর দশ পর

আজ বছর দশ পর 
দীর্ঘশ্বাস করে ভর
খুঁজতে গেলাম কফি হাউজে
স্মৃতির নুড়ি-পাথর,
সেই তো চেনা চেনা কফির গন্ধ আর
পুরনো পাখা গুলো ঘুরতে চায় না আর
কবিতা আর গান কড়া ইনফিউশান
বেঁচে থাকা স্বপ্ন নির্ভর ।
প্রতিটা সকাল যেন দিনের অন্তরা
সন্ধ্যে নামতো ঠিক সঞ্চারী হয়ে
এখনোতো একই ভাবে দিন যায় রাত আসে
বেলা শেষে গান গেয়ে
সেইতো চেনা চেনা মুখ তবু চেনা নয়
বুকের মাঝে দশ বছরের অবক্ষয়,
বিশাল্যকরণের মত আজ কফি হাউজ
বাঁচাবে কি মৃত অন্তর ।
মুক্তির দশকের অশান্ত ঝড়ো হাওয়া
লিটলম্যাগের কত বিমূর্ত ছবি
বারুদের স্তুপ নিয়ে বানাই শিরস্থান
নেশাতুর জীবনের কবি,
সেইতো চেনা চেনা মুখ তবু চেনা নয়
বুকের মাঝে দশ বছরের অবক্ষয়,
বিশাল্যকরণের মত আজ কফি হাউজ
বাঁচাবে কি মৃত অন্তর ।
আজ বছর দশ পর 
দীর্ঘশ্বাস করে ভর
খুঁজতে গেলাম কফি হাউজে
স্মৃতির নুড়ি-পাথর,
সেই তো চেনা চেনা কফির গন্ধ আর
পুরনো পাখা গুলো ঘুরতে চায় না আর.....

Wednesday, June 21, 2017

ওগো কাজল নয়না

ওগো কাজলনয়না হরিণী, তুমি দাও না ও দু’টি আঁখি
ওগো গোলাপ পাপড়ি মেলো না, তার অধরে তোমাকে রাখি।।

ওগো কাঞ্চনবর্ণা চম্পক মঞ্জরী করো তাকে চম্পকবর্ণা
এসো উচ্ছল ঝর্ণা অকারণ উল্লাসে হাসি হয়ে তার ঝরে’ পড়্ না
ওগো নিবিড় পুঞ্জ মেঘ দিগন্ত হতে এসো মেঘমালা কুন্তল ললনা
এসো অপরূপ চন্দ্রিমা পূর্ণিমা জোছনা ঝর না আননে তার ঝর্ না
ওগো মযূর পেখম তোলো না, তার লজ্জা তোমাতে ঢাকি।।

ওগো কুঞ্জ কোকিল এসো পঞ্চম সুর দিয়ে কোকিলকন্ঠী তাকে কর্ না
এসো অশান্ত সমীরণ দাও দোল দাও ছন্দে ছন্দে তাকে ধর্ না
ওগো যৌবনবন্যা লীলায়িত রঙ্গে কানায় কানায় তাকে ভর্ না
এসো অনন্ত জগতের যত রূপ লাবণি তার রূপে সাধ করে মর্ না
এসো আমার মনের মাধুরী, তার স্বপ্ন তোমাতে আঁকি।

Sunday, June 11, 2017

Koto je sagor nodi

Maqsud H Bhuiyan
Koto je sagor nodi
Periye elam ami
Koto poth holam je paar
Tomar moton eto
Oporoop sundor
Kauke to dekhini go ar
Priyotoma mone rekho
Onupoma mone rekho
Haoway haoway dole
Oi kash ful
Ure jay achol je
Kore elo chul
Alta payer Alto chhoway
Poth cholo priya je amar
Onek dekhechhi tobu
Tomar O mukhkhani
Sadh hoy dekhi go abar
Tomar moton eto
Oporoop sundor
Kauke to dekhini go ar
Priyotoma mone rekho
Onupoma mone rekho
Sonay sonay mora
Nil nil akash
Shanto dighir jole
Khele rajhash
Kajla chokhe
Mishti chaoway
Chhobi anko priya je amar
Onek dekhechhi tobu
E sobuj bangla ke
Sadh hoy dekhi go abar
Tomar moton eto
Oporoop sundor
Kauke to dekhini go ar
Priyotoma mone rekho
Onupoma mone rekho
Koto je sagor nodi...

Translate in englishTranslate in english
Lyr

Friday, June 9, 2017

Scifi movies

THE 5TH WAVE - 2015  KONG: SKULL ISLAND   In the Heart of the Sea In the Heart of the Sea THE EDGE OF SEVENTEEN  TIME TRAVELLER Movie TRAILER (Adventure - Romance)

Monday, June 5, 2017

Eset smart internet security premium license keys

Eset smart internet security premium license keys nod32 version 10/9/8 username and password, latest serial key for nod32 antivirus eset internet security 2018/2017 pc and mobile phones free activation, health for your pc and relax for your reckless mind ...pefelie.net is now .org

eset internet security 10 nod32 keys..scroll down for premium key

AFAX-W334-AVSU-U6SP-US3X
full key 2018

AFAX-W333-H7MB-B9B7-N23H
full expire 22.10.2017

AFAX-W334-ACCB-BTFR-4FEC
emergency key, valid: 16.01.2018

Eset Mobile Security free license keys
Username: EAV-0200481602
Password: 4k649fu68h
Expiry Date: 30.08.2017

Username: EAV-0200481603
Password: be7tps63jx
Expiry Date: 30.08.2017

or key for some mobiles: 9EFR-XAEM-BJC8-9VPS-JK64

eset smart security username and password nod32 keys 8:
Username: EAV-0187809544
Password: e35cn555jf
Expiry Date: 04.01.2018

eset smart security premium 10 license keys
BEM4-XDCU-CPSB-7DVW-G4SN
9759-XCU7-8W8J-9AHM-P8H8
SUF5-XR8M-9BHK-KAD4-J72J
valid 01.07.2017

you'd better install eset internet security 10, which offers the same basic protection as eset smart premium does, or use these trial keys (will be always updated on time ) until i find something longer, write down at comments if you have problems, don't have to register, and bookmark this site; https://pefelie.org/forum/

all longer keys were (and will be) blocked, but you will always find a valid one here
Aurel
Posts: 31303
Comments

Thursday, May 25, 2017

আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা

আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা 
আর কত কাল আমি রব দিশাহারা 
জবাব কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু 
পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবন সারা, এ জীবন সারা।। 

কারা যেন ভালবেসে আলো জ্বেলেছিলো 
সূর্যের আলো তাই নিভে গিয়েছিলো।। 
নিজের ছায়ার পিছে ঘুরে ঘুরে মরি মিছে, 
একদিন চেয়ে দেখি আমি তুমি হারা, আমি তুমি হারা। 
আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা 
আর কত কাল আমি রব দিশাহারা 

আমি পথ খুঁজি নাকো পথ মোরে খোঁজে 
মন যা বোঝে না বুঝে, না বুঝে তা বোঝে।। 
আমার চতুর পাশে সব কিছু যায় আসে 
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা। 
আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা 
আর কত কাল আমি রব দিশাহারা..... 

Friday, May 19, 2017

Keno ei

Keno ei nishongota
Keno ei mounota..
Amake ghire
Keuna januk kar karone
Keuna januk kar shorone
Mon pichu tane
Tobuo jibon jacche kete
Jiboner niyome..
Shopno gulo onno karo
Vul gulo amari
Kanna gulo thak duchokhe
Kosto amari
Vebe nebo prem alo ar adhari
Keu na januk kon birohe
Din chole jay aj kivabe
Mon pichutane
Icche gulo thak hridoye
Berthota amari
Shukh na hok onno karo
Dukhora amari
Bhule jabo mon keno aj ferari
Keuna januk kon hotashay
Din chole jay nirobe hay
Mon pichu tane..

Friday, May 5, 2017

রাতের আকাশের নিশ্চুপ সাক্ষী

রাতের আকাশের নিশ্চুপ সাক্ষী
দূরের ঐ ধ্রুব তারা
কতটা বেসেছি ভালো
শুধু মন জানে
এ হৃদয় জানে।।
জানি তুমি আর ফিরবে না
নিভে যাওয়া দ্বীপ জ্বালাবেনা আর
প্রতি নিঃশ্বাসে কষ্ট ধরে
বেঁচে থাকা দায় তোমাকে ছাড়া
দূরের ঐ ধ্রুব তারা …
এ জীবনে তুমি আমার হবে না
নিয়তি কি তবে এভাবে লেখা
কেন এ জীবন ছন্নছাড়া
স্বাক্ষী তো তুমি প্রিয় ধ্রুব তারা
দূরের ঐ ধ্রুব তারা …

এই দূর পরবাসে তারাগুনি আকাশে আকাশে

এই দূর পরবাসে তারাগুনি আকাশে আকাশে
কাটে নিঃসঙ্গ রাত্রিগুলো।।
মাঝে মাঝে স্বপ্নের বেশে স্মৃতিরা এসে
আমাকে করে যায় বড় বেশী এলোমেলো।।
মনে পড়ে যায় বন্ধুদের আড্ডা মুখর প্রহর
তমুল উল্লাসে ভরা প্রিয় শহর।।
সেখানে হয়ত সবাই ব্যস্ত মেলে না সময়
তবু সেখানেই ফিরে যেতে চায় ফেরারী হৃদয়
এই একাকী জীবন ভাল লাগে না আমার
বিষন্ন দিনের শেষে বিষন্ন রাতের শেষে।।
মনে পড়ে যায় কখনো পুরনো তোমাকে
প্রতিটি কষ্টমাখা দিনের ফাঁকে।
হয়ত বদলে গেছ,হয়ে গেছ অচেনা তুমি
তবু তোমাকেই ফিরে পেতে চায় দূরের আমি।।

কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে

কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না
কবিতা, এই নিশাচর আমায় ভেবোনা সুখের মোহনা।
দেখবে আমাদের ভালবাসা হয়ে গেছে কখন যেন
পদ্ম পাতার জল। (2)
কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না
কবিতা, এই নিশাচর আমায় ভেবোনা সুখের মোহনা।
বেদনাসিক্ত অশান্ত এই মন
খুঁজে ফেরে মেটায় প্রয়োজন
যতদূর জানে এ ব্যাকুল হৃদয়
নীল বিষের পেয়ালা মনের বাঁধন।
বেদনাসিক্ত অশান্ত এই মন
খুঁজে ফেরে মেটায় প্রয়োজন
যতদূর জানে এ ব্যাকুল হৃদয়
নীল বিষের পেয়ালা মনের বাঁধন।
দেখবে আমাদের ভালবাসা হয়ে গেছে কখন যেন
পদ্ম পাতার জল। (2)
কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না
কবিতা, এই নিশাচর আমায় ভেবোনা সুখের মোহনা।
নয়ন গভীরে আঙ্গিনা
নিবিড়তার ছোঁয়ায় হৃদয় প্রতিমা
কোথায় হারালে বল পাব তোমায়
বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা।
নয়ন গভীরে আঙ্গিনা
নিবিড়তার ছোঁয়ায় হৃদয় প্রতিমা
কোথায় হারালে বল পাব তোমায়
বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা।
দেখবে আমাদের ভালবাসা হয়ে গেছে কখন যেন
পদ্ম পাতার জল। (2)
কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিনী হয়ে খবর নিও না
কবিতা, এই নিশাচর আমায় ভেবোনা সুখের মোহনা।
দেখবে আমাদের ভালবাসা হয়ে গেছে কখন যেন
পদ্ম পাতার জল। (3)

আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা

আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা
আর কত কাল আমি রব দিশাহারা
জবাব কিছুই তার দিতে পারি নাই শুধু
পথ খুঁজে কেটে গেল এ জীবন সারা, এ জীবন সারা।।
কারা যেন ভালবেসে আলো জ্বেলেছিলো
সূর্যের আলো তাই নিভে গিয়েছিলো।
নিজের ছায়ার পিছে ঘুরে ঘুরে মরি মিছে
একদিন চেয়ে দেখি আমি তুমি হারা, আমি তুমিহারা।।
আমি পথ খুঁজি নাকো পথ মোরে খোঁজে
মন যা বোঝে না বুঝে,না বুঝে তা বোঝে।
আমার চতুরপাশে সব কিছু যায় আসে
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা।।

ফেরারী এই মনটা আমার

ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।
কখনো ভাবিনি আমি
ব্যথা দিয়ে তুমি চলে যাবে
কি জানি কি ভুল ছিল আমার
আমাকে কেন গেলে কাঁদিয়ে
তাই আমি ফিরে আসি বারেবার
ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।
যে পথে হারিয়েছি তোমায়
সেই পথে খুঁজে আমি যাব
অভিমান করে থেকো না
অপবাদ দিয়ে যেও না
তাই আমি ফিরে আসি বারেবার
ফেরারী এই মনটা আমার
মানে না কোনো বাঁধা
তোমাকে পাবারই আশায়
ফিরে আসে বারেবার ।।

Saturday, April 22, 2017

তুমি আমার মানুষ

তুমি আমার মনের মানুষ
মনেরই ভিতর
তুমি আমার প্রাণ বন্ধু
অন্তরের অন্তর
তুমি আমায় করো নাকো
কোনদিনও পর

তোমায় এক নজর না দেখলে পরে
পরান আমার পোড়ে
দেখলে পরে দুই নয়নে
তৃষ্ণা আরো বাড়ে
সামনে আমার প্রেমের সিন্ধু
পাইনা তারে এক বিন্দু

তোমার এত ভালোবাসা আমি
… লুকাই রাখি
বুকের খাঁচায় বন্দী থেকো
ওগো অবুঝ পাখি
তোমার প্রেমে আমি অন্ধ
ফিরে যাওয়ার পথ বন্ধ
ইচ্ছে করে জনম ভরে
করিগো আদ

Friday, April 14, 2017

এত সুর আর এত গান

এত সুর আর এত গান 
যদি কোনদিন থেমে যায় 
সেইদিন তুমিও তো গো 
জানি ভুলে যাবে আমায় 
এত সুর আর এত গান 
যদি কোনদিন থেমে যায় 
সেইদিন তুমিও তো গো 
জানি ভুলে যাবে আমায় 

কতদিন আর এ জীবন 
কত আর এ মধুলগন 
তবুও তো পেয়েছি তোমায় 
জানি ভুলে যাবে যে আমায় 
এত সুর আর এত গান 

আমি তো গেয়েছি সেই গান 
যে গানে দিয়েছিলে প্রাণ 
আমি তো গেয়েছি সেই গান 
যে গানে দিয়েছিলে প্রাণ 
ক্ষতি নেই আজ কিছু আর 
ভুলেছি যত কিছু তার 
ক্ষতি নেই আজ কিছু আর 
ভুলেছি যত কিছু তার 
এ জীবনে সবি যে হারায় 
জানি ভুলে যাবে যে আমায় 

এত সুর আর এত গান 
যদি কোনদিন থেমে যায় 
সেইদিন তুমিও তো গো 
জানি ভুলে যাবে আমায় 

Tuesday, April 11, 2017

চলোনা কোথাও

চলোনা কোথাও বহূ দূরে চলে যাই চলোনা
কোথাও বুহুদুরে চলে যাই
যেখানে সব অচেনা যেখানে সব নিশানা
এমন পথে পা বাড়াই চলোনা
যেখানে পাখি ডাকে না কেন শুধু গান গায়
যেখানে পুবালী হাওয়া উড়তে শেখায়

Thursday, March 30, 2017

Friday, March 17, 2017

kichu valobasar golpo

https://tinyurl.com/k5226ft

চমকে যাওয়া ভালোবাসা লিখেছেনঃ Mahmud Hasan

চমকে যাওয়া ভালোবাসা
লিখেছেনঃ Mahmud Hasan
মেয়েটা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ভাস্কর্যের সামনে দাড়িয়ে আপন মনে নখ কেটেই যাচ্ছে। ঘন ঘন পরছে চোখের পলক। কেমন যেন একটা অস্থির অস্থির ভাব। ভিড়ের একপাশে দাঁড়ানো মেয়েটাকে দেখলে মনে হবে অসহায় চোখে কান্না কান্না ভাব। ভাস্কর্যের বেদীতে দাড়িয়ে নেতাগোছের একটা ছেলে চিৎকার করে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বলছে। ভিড়ের কোলাহলের মাঝে নিজের রেজাল্টটা শুনতে পেল না মেয়েটা। আস্তে আস্তে ভিড় কমে এলো। একটু দ্বিধা, একটু জড়তা কণ্ঠে মেয়েটা ছেলেটার কাছে রেজাল্ট জানতে চাইল। ছেলেটা তাচ্ছিল্যভরা কণ্ঠে জানালো সে চান্স পায়নি। কান্না লুকিয়ে মেয়েটা রিক্সায় উঠে গেল। বাসার সামনে রিক্সা থেকে নেমে দেখল সেই ছেলেটিও রিক্সা থেকে নামছে। রিক্সা থেকে নেমেই বলল, আপনি চান্স পেয়েছেন। মেয়েটিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রিক্সায় উঠে চলে গেল। মেয়েটার মনে হল ছেলেটাকে একটা ঘুষি হাকায়। মাথায় সমস্যা না থাকলে কেউ এমন করে।
এতক্ষন যে পাগল ছেলের পাগলামির কথা বলছিলাম সে ভিক্টোরিয়াতেই পড়ে। বয়সে আমার এক ইয়ার সিনিয়র। প্রথম দিনে ওকে আমার পিছে পিছে বাসায় আসতে দেখে মনে হয়েছিল আর দশটা ছেলের মতই গায়েপরা স্বভাবের। ১৫দিন পর আমাদের ক্লাস শুরু হল। প্রথম দিনই দেখলাম ক্লাসের মধ্যে একদল ছেলে মিছিল নিয়ে হাজির। আর মিছিলের নেতা সে। এরপর প্রায়ই কলেজে দেখা হতো। কিন্তু এমন ভাব করতো যেন প্রথম দেখেছে। সিনিয়র ভাই বলে সালাম দিতে হতো। একদিন আমাকে ডেকে বলল কোন হেল্প লাগবে কিনা। আমাকে সব নোট, চোথা যোগাড় করা, ভাল টিচারের কাছে নিজে যাওয়া, সবই করে দিল। আমার ধারনা ছিল ও আমাকে পছন্দ করে। কিছুদিন পর দেখলাম সবাইকেই একইরকম হেল্প করছে। ক্যাম্পাসের সবাই ওকে পছন্দ করতো। সারাটা দিন মিটিং, মিছিল নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। ফোন করলে ৫ মিনিটের বেশি কথা বলার সময় হতো না।
ওকে প্রথম দেখায় রাগী বলেই মনে হবে। কিন্তু মনটা একেবারে শিশুর মত। ওর কাছে কেউ সাহায্য চেয়ে কাউকে ফেরত যেতে দেখিনি। কাউকে কখনো না বলত না। ওর গুনটাকেই অনেকে দুর্বলতা ভেবে নিজের স্বার্থ হাসিল করে নিতো। মানুষটার একটাই দোষ, রাজনীতির জন্য তার জান-প্রান দিতে প্রস্তুত। অথচ রাজনৈতিক নেতারা তাকে ইউজ করতো সে সেটা বুঝতে পারতো না। ওয়ান ইলাভেনের কিছুদিন আগে পুলিশের লাঠি-চার্জে মাথায় আঘাত পেয়ে কুমিল্লার সিডিপ্যাথ হাসপাতালে ভর্তি হল। ক্লাস ফাকি দিয়ে ওকে দেখতে গেলাম। সেদিনই টের পেলাম মানুষটাকে আমি পাগলের মত ভালবাসি। কিন্তু এতো সুন্দরীর নয়নের মনি সে কি আমাকে পছন্দ করবে। ও হয়তো আমাকে পছন্দ করে কিন্তু ভালবাসে না, অন্তত ওর সাথে কথা বলে তাই মনে হয়। তাই ভালবাসাটা পাথরচাপা দিয়েই রাখলাম। তবুও মাঝে মাঝে মনে হয় ছুটে গিয়ে বলে দেই মনের কথাটা। ভালবাসা আমার নীরবে বালিশ ভেজানোতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
ও সবসময় চমকে দিয়ে আনন্দ পেত। একবার ভ্যালেন্টাইন ডের সকালে ওকে দেখা করতে বললাম। ও ভীষণ রেগে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে আমাকে বকলো। আমি পুরো স্তব্দ হয়ে গেলাম। মন খারাপ করে রানীর দীঘির পাড়ে পা ঝুলিয়ে বসে আছি। হঠাৎ দেখি আমার ডানপাশে একগুচ্ছ গোলাপ। কাউকে দেখলাম না আশেপাশে। কখন যে ও আমার বামপাশে এসে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে টের পেলাম না। আমাকে বলল বকা না দিলে নাকি এই মজাটা পেতাম না। আরেকটা ঘটনা বলি। ও তখন ঢাকা ভার্সিটির বোটানির ২য় বর্ষে আর আমি বগুড়া মেডিক্যালের ১ম বর্ষে। ওকে অনেক বলতাম বগুড়ায় আসার জন্য। তার দলের রাজনৈতিক কাজের জন্য আসতে পারতো না। হয়তো ইচ্ছে করেই আমার অবহেলা করতো। আরেকবার বার্থডেতে ১২ টার পর আমাকে ফোন উইশ করে বলল কাল সকাল ৮টায় সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে যেন ওর গিফট টা রিসিভ করি এবং গিফটটা হবে স্পেশাল। রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম কি হতে পারে ওই গিফটটা। জগজিতের গজল, চাইনিজ হ্যাট নাকি সমরেশ সমগ্র? সকাল বেলা ওখানে গিয়ে যে গিফট পেলাম তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। গিয়ে দেখি সে নিজেই কুরিয়ারের দোকানে বসে আছে। আপনারাই বলুন এর ভাল গিফট আর কি হতে পারে? ও মানুষের চমকে যাওয়া আনন্দিত মুখের সেই খুশির অশ্রুতে টলটল চোখটা দেখতে ভালবাসত।
সবকিছু ভালই চলছিল। হঠাৎ ভার্সিটিতে মারামারি লেগে একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ ওকে বেধড়ক পিটাল। তার বেডিং সহ সব জিনিস রাস্তায় ফেলে দিল। পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। পায়ে অপারেশন করায় তাকে প্রায় ৩ মাস হাসপাতালে থাকতে হয়। প্রতিটা উইকেন্ডে ছুটে যেতাম ওকে দেখার জন্য। ক্লাসমেটরা জানতো আমি বাসায় যাই। আপনারা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন আমি ওকে কতটা ভালবাসি। প্রতিদিন এত কথা বলি, তবুও কখনো ভালবাসার কথা বলতে সাহস করিনি। মাঝে মাঝে মনে হয় ও অনেক নিষ্ঠুর…সবকিছু বুঝেও না বুঝার ভান করে। একটা মেয়ে তার পিছনে তিন বছর আঠার লেগে আছে…অথচ তার কোন বিকার নেই। আমার প্রথম প্রফ পরীক্ষার পর বাসা থেকে বিয়ের তোরজোড় শুরু হয়ে গেল। প্রফের ১৫ দিনের ছুটিতে বিয়ে নিয়ে মায়ের অনেক প্যানপ্যানানি শুনতে হল। হঠাৎ একদিন মেজাজ খারাপ করে ঠিক করলাম ওকে সবকিছু খুলে বলব, যা আছে কপালে। ও আমার কথা শুনে নির্লিপ্তভাবে বলল সে এনগেজড। আর কিছু বলার রুচি হল না। রিক্সায় উঠে শেষবারের মত তাকালাম। একটু আশা ছিল যে সে হয়তো আমাকে চমকে দিয়ে কিছু একটা বলবে। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি। বাসায় এসে চুপচাপ বালিশে মুখ লুকিয়ে কাদলাম। ৪-৫ দিন পর রাতের বেলা মা জোর করে উঠিয়ে ভাত খাওয়ালেন। খাওয়ার পর দেখি মা বায়োডাটা নিয়ে হাজির। নতুন বিয়ের সমন্ধ নিয়ে হাজির। মায়ের উপর প্রচণ্ড রাগ হল।অনেক কষ্টে রাগটা চাপলাম। বায়োডাটা খুলে যা দেখলাম তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। ওর ছবি দেখে মাকে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেললাম। সব ওর পূর্ব পরিকল্পনা। মানুষটা আসলে চমকে দিয়ে চরম আনন্দ পায়। রাতে ফোন দিলে বলল…তুমিতো এনগেজড শুনেই চলে আসলে…কার সাথে এনগেজড সেটাতো শুনলে না।
আমাদের বিয়ের ২ বছর হতে চলল। ও এখন সেনাবাহিনীতে এডুকেশন কোরে কর্মরত আছে। এখন ম্যারেজডেতে এমন ভাব করি যেন ম্যারেজডের কথা দিব্যি ভুলে গেছি। যেভাবেই হোক ও ছুটি ম্যানেজ করে ম্যারেজডেতে আসবেই। আমিও এমন ভাব করি যেন অনেক চমকে গেছি। মানুষটা যে আমার চমকে যাওয়া মুখটা দেখতে ভালবাসে। সেদিন সিএমএইচে গাইনি ডাক্তার একটা সুখবর দিলেন। সামনের সাপ্তাহে তার ছুটিতে আসার কথা। তখনি তাকে সুখবরটা দিবো। কেননা এবারতো আমার চমকে দেবার পালা…কি বলেন আপনারা?

(আমার গল্পগুলি যদি আপনাদের হৃদয় একটুও ছুয়ে যায় তবে নিজেকে সার্থক মনে করবো। আপনাদের ভাল লাগলে ভবিষ্যতে আরও লেখার আগ্রহ বোধ করব। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ। –মাহমুদ হাসান।)
এই সময়ে ১/০৫/২০১৩ ০৫:৪০:০০ PM 

একটি শীতের সকালের মিষ্টি প্রেম কাহেনী মোঃমাসুদ রানা

একটি শীতের সকালের মিষ্টি প্রেম কাহেনী


একটি শীতের সকালের মিষ্টি প্রেম কাহেনী
মোঃমাসুদ রানা

সকাল সকাল ক্লাসে যেতে কি মজা লাগে কারও।তবুও আবার শীতের কালে।শত কষ্ট হলেও যেতে হবে কেননা আজ ক্লাসে গুরুত্বপূর্ন একটা ক্লাস আছে।ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গেলাম। ৯ টা বাজে আজ কি রাস্তা ঘাটে লোকজন কম নাকি? বাস-স্ট্যান্ডে যেতেই দেখি বোরকা পরা এক রমনী দারিয়ে আছে।বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।মেয়েটার সাথে বার বার চোখ পরে যাচ্ছে।যাই হোক বাস এসে পরল উঠে পরলাম বাসে মেয়েটাও উঠল।কেন জানি মেয়েটাকে বার বার দেখতে মন চাচ্ছে।কিছুক্ষনের মধ্যে আমার গন্তব্য চলে এলাম।ক্লাসেও মন বসছে না এত একটা ইমপোর্টেন্ট একটা ক্লাসে মন বসাতে পারলাম না।বাসায় ফিরে আসলাম।রাতে শুধু মনে হচ্ছে কাল কি তার দেখা পাব?কি জানি ? এটা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম।সকালে এক ধীর বিশ্বাস নিয়ে বাস-স্ট্যান্ডে গেলাম।গিয়ে দেখি আজও সেই মেয়ে আজব তো মনের কথার সাথে দেখি মিলে গেছে।তাহলে কি আমার ঘন্টা বেজে গেছে?আজও তাকে দেখছি তবুও জানি কেন মনে হচ্ছে তাকে যদি সবসময় দেখতে পারতাম।ওর মুখটা কখনো দেখতে পারিনি শুধু চোখ ছাড়া।পরের দিন এর কথা বাস-স্ট্যান্ডে গেলাম দেখি ও নাই ওর জায়গায় বাংলার নায়িকাদের পেছনে ফেলবে মডেলিং এক কন্যা।দেখে মেজাজটা যে কি খারাপ লাগছে।যাই হোক কন্ট্রল করলাম।দেখি মেয়েটা আমার দিকে আসছে।আরে আমার কাছে আসছে কেন?
এই যে ভাইয়া একটু শুনবেন আপনি কোথায় যাবেন জানতে পারি?
আমি ভাবলাম হাইজাকার হতে পারে কেননা আজকাল মেয়েদের বিশ্বাস নেই।
আমি ভদ্রভাবেই বললাম বনানীতে যাব।
ও আচ্ছা আমিও তো যাব ভাইয়া ঐখানে আমার ক্লাসে ।
কি করেন আপনি মেয়েটা জিজ্ঞাসা করল আমাকে?
মেজাজটা যে আর কন্ট্রল করতে পারলাম না বলেই ফেললামশ আপনার কি আমার করা নিয়ে নিয়ে। আপনার সমস্যা কি?
দেখলাম মেয়েটা কেদেই দিল ।আর সেখান থেকে চলে গেল।
নিজের প্রতি খুব খারাপ লাগল।কি দরকার ছিল বকা দেওয়ার।
পরের দিন আবার মেয়ে দুটোকে খুজতে আসলাম।খুব খারাপ লাগল কাউ কে না পেয়ে ক্লাসে না গিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
প্রায় ১ মাস হয়ে গেল কারো দেখা পেতাম না
একদিন দেখি সেই বোরকা পরা মেয়েটি।আমার প্রেমের থামা ঘড়িতে মনে হয় কে জানি ১০০০ বোল্টের ব্যাটারি লাগিয়ে দিছে। কথা বলব কি না বলব এটা ভেবে একসময় সাহস করে বলেই ফেললাম আপনি এত দিন কোথায় ছিলেন। মেয়েটা আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে উলটা আমাকে বকা দিল।জানি না কেন আজ কেদে ফেললাম।নিজের কাছে নিজেকে ক্ষমা করতে পারলাম না।বাসায় চলে এলাম।
আজ ৩ দিন হয়ে যাচ্ছে কোথাও যাচ্ছি না।সারাদিন ঘরেই বসে থাকি।
কেন জানি মনে হচ্ছে ঐ দিন ঐ মেয়েটাকে আমার বকা দেওয়ার কথা।তাহলে এটাই কি তার শাস্তি। যাই হোক মেয়েটার কাছে আমাকে ক্ষমা চাইতেই হবে।
তাই আজ চলে গেলাম বাস-স্ট্যান্ডে।আল্লাহ্‌ র কাছে প্রার্থনা করতে লাগলাম যেন মেয়েটাকে পাই দরকার হলে পায়ে ধরে মাফ চাইব।
কিন্তু মেয়েটাকে পেলাম না।
এইভাবে ১ সপ্তাহ পার হয়ে যায় বোরকা পরা মেয়েটাকেও দেখতে পেলাম না একদিনও।
আজ সেই ২য় দিনের মত লাগছে  কেন আমার।তাহলে কি আজ বোরকা পরা মেয়েটি এসেছে?না কেউ আসেনি।মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছি।হঠাত পাশ থেকে একটা লোকের সাথে ধাক্কা খেলাম।পিছনে  ঘুরতেই দেখি সেই মডেলিং মেয়েটা। আল্লাহ্‌ কে কি বলে ধন্যবাদ দিব?আলহামদুলিল্লাহ্‌।
মেয়েটার কাছে গেলাম মেয়েটা আমাকে দেখে জিজ্ঞাসা করল আজও কি বকা দিবেন নাকি?আমি ভাবলাম আমাকে বোরকা পরা মেয়েটার মত বকা দিবে কিন্তু না।যাই হোক নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলাম মেয়েটার কাছে।
মেয়েটার সাথে পরিচয় হলাম।মেয়েটার নাম রিদি।আর আমার নাম সাকিব।
পরের দিনো আবার রিদি এর সাথে দেখা।ওর সাথে কিছুক্ষন কথা হলো।একি সাথে আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেল।
আমি আজোও সেই মেয়েটিকে ভুলতে পারছি না।রিদির সাথে ফোনে কথা বলা শরু হলো।কিছুদিন ধরে।আমাকে সাথে নিয়ে ও মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে যেত। আমি ওকে আমার বন্ধুই মনে করতাম।এর বেশি কিছু না।
একদিন আমার মোবাইলে একটা মেসেজ এল তখন আমি বাহিরে ছিলাম তাই আর ওপেন করি নি।বাসায় এসে দেখি রিদি  এর এস,এম,এস।যা দেখলাম আমার টেনশন বেড়ে গেল।সে আমাকে ভালবাসে।আমি কি করব বুঝতে পারলাম না।আমি তো সেই বোরকা পরা মেয়েটাকে ভালবাসি রিদি কে না। রিদির ফোন আসল রিসিভ করি নি।এভাবে অনেকক্ষন কল আসল।একসময় রিসিভ করলাম।ও পাশ থেকে কোন শব্দ হচ্ছে না।
যাই হোক আমাকে আজ সব খুলে বলতেই হবে।আমি সব বললাম ওকে।আমার কথা গুলো শুনার পর সে তার মোবাইল অফ করে দেই।আমার টেনশন আরো বেরে গেল।রাত ৩ টায় আমার মোবাইলে একটা মেসেজ এলো রিদির মোবাইল থেকে। আমার সাথে দেখা করবে।
তো যাই হোক দেখা করব রিপ্লাই দিলাম।পরের দিন সকালে সাদা একটা শার্ট পরলাম ওর সাথে দেখা করব বলে।আমি তাকে ফোন দিলাম কোথায় তুমি ও আমাকে বলল পার্কে যেতে ।আমি পার্কে বসে ওর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অনেকক্ষন হয়ে গেল ও আসছে না দেখি।আমি ওর মোবাইলে কল দিলাম দেখি মোবাইল অফ।এমনেই রাতে টেনশনে ঘুমাতে পারিনি।আরো টেনশন বেরে গেল।৩ ঘন্টা হয়ে গেল।আমি তার জন্য অপেক্ষা করছি।ভাবলাম চলে যাব।পার্কের গেইটে যেতেই দেখি সেই  বোরকা মেয়েটার মত দেখতে একটা মেয়ে আরে এটা তো সেই মেয়েই।আমার দিকে তেরে আসছে আমি মাথা নিচের দিকে দিয়ে রইলাম
এই আমাকে ভালবাস না? মাত্র ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারলা আমার জন্যে।
বোরকার ঘোমটা খুলে ফেলল।আরে এটা তো রিদি।
আমি আকাশ থেকে পরলাম।আরে আপনি............তুমি...ই।
হে আমি তো কি হইছে। না কিছু হয়নি মানে?এইটুকু বলতেই পারলাম তার আগেই আমার চুল এর অবস্থা শেষ।এক সময় মার থামালো।আমার যে কি আনন্দ লাগছে তা এই মারের কাছে কিছু না।পরে জানতে পারলাম।এসব সে ইচ্ছা করে করছে আমি কেমন তা জানার জন্যে।
আজ ১ বছর হয়ে গেছে আমাদের বিয়ের।একা থাকলে আমার জন্য মনে হয় রিদি বাস-স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে আছে ।তাই তারাতারি অফিস থেকে বাসাই ফিরে আসি।
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি রিদি কে অনেক ভালবাসি।
(আমাদের গল্প গুলো ভাল লাগলে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন)

মেঘবৃষ্টি লিখেছেনঃ- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

ღমেঘবৃষ্টিღ
ღভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ গল্প-০১ღ
মেঘবৃষ্টি
লিখেছেনঃ- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

জানলার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে ছিল মেঘ। কি যেন ভাবছিল । 'জানলাটা লাগিয়ে দাও, মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে' - হঠাত্‍ মায়ের কথায় চমকে উঠল সে । জানলা দিয়ে আবার তাকাল । এই মধ্য দুপুরেও অন্ধকারহয়ে আছে চারদিক । এমন দিন কখনই ভাল লাগত না তার । কেমন যেন একটা মন খারাপ করা পরিবেশ । এখন অবশ্য তার কোন রকমই লাগেনা । রোদ , বৃষ্টি কোন কিছুই তার মনে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না । সবসময় একই রকম লাগে । জানলার কাচঁটা টেনে লাগিয়ে দেয় । তারপর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় । এই বারান্দাটা তার খুব প্রিয় । অনেক আনন্দ , অনেক কষ্ট , অনেক কান্নার স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই বারান্দাটার সাথে । বারান্দাটা তার ঘরের সাথে লাগানো । বারান্দায় আসলেই অনেক কথা মনে পড়ে যায় তার । সন্ধ্যায় বা রাতে লোডশেডিং হলে বারান্দায় শুয়ে আকাশের তারাগুলো দেখতে খুব ভাল লাগত তার । আর মন খারাপ হলেই বারান্দায় এসেবসে থাকত । কত দিন মধ্যরাত পর্যন্ত বারান্দায় বসে কেঁদেছে সে তার কোন হিসাব নেই । এখন আর সে এ বারান্দায় সচরাচর আসে না । বারান্দার সাথে জড়িয়েথাকা দুঃখগুলো মনে করতে চায়না বলেই হয়ত আসে না ।
"মেঘ, তোমার ফোন এসেছে" - মায়ের কথা শুনে ঘরে যায় সে । অনেক দিন হয়ে গেছে মোবাইল ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছে । ও কাউকে ফোন করে না । কেউ যদি করে তাহলে ওর বাসার নাম্বারে করে । বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ প্রায় হয় না বললেই চলে ।বন্ধু বলতে স্কুল কলেজের বন্ধুরা । ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর কারো সাথে বন্ধুত্ব করেনি সে । একা একা ভার্সিটিতে যায় , ক্লাস করে , তারপর চলে আসে । কারো সাথে তেমন কথা বলে না । অথচ একটা সময় ছিল যখন একদিন বান্ধবীদের সাথে দেখা না হলে বা বাসা থেকে বেরুতে না পারলে হাঁপিয়ে উঠত সে । আর সারাদিন মোবাইলে কথা তো চলতই । মোবাইলে কথা বলার জন্য মার কাছে কম বকা খায়নি সে ।
মোবাইলটা নিয়ে কানে ধরে সে-
-হ্যালো কে ?
-হ্যালো মেঘ , আমি রূপা । কেমন আছিস তুই ?
-ও , ভাল । তুই ?
-আছি কোনরকম । আমার কথা আর বলিস না । খোঁজ খবর তো নিস না । ঢাকায় থাকা যে কিকষ্টের তা আর কি বলব ! মাঝে মাঝে ইচ্ছেহয় পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে সিলেট চলে আসি । আগের দিনগুলা খুব মিস করি রে । তুইও তো একা হয়ে গেলি । আমাদের কথা কি মনে পড়ে না ?
-হুম ।
-আচ্ছা যাই হোক । শোন , আজকে বিকেলে বের হতে পারবি ? ছুটিতে সবাই এসেছে । সেই কবে সবাই একসাথে হয়েছিলাম । আজ বিকেলে সবাই একসাথে ঘুরব ।
-নারে , আমি আসতে পারব না । শরীরটা বেশি ভাল না ।
-কি হয়েছে ?
-তেমন কিছু না । মাথা ব্যথা ।
-মাথা ব্যথা কমে যাবে । তুই চলে আসিস ।তুই তো এমনভাবে কথা বলতি না ! আগে তো আমরা না চাইলেও জোর করে ঘুরতে বের হতি। ফুচকা না খেলে তো পেটের ভাত হজম হত না । আর এখন বাসা থেকে বের হতে চাইছিস না !
-তোরা যা । আমি আরেক দিন আসব ।
লাইনটা কেটে দিল মেঘ ।
সত্যিই তো , সে তো আগে এরকম ছিল না । আগের মেঘের সাথে এখনকার মেঘের কোন মিলই নেই । যেই মেয়ে কথায় কথায় হাসত , হাসি ছাড়া থাকতে পারত না , সেই মেয়ে এখন হাসতে ভুলে গেছে । শেষ কবে প্রাণ খুলে হেসেছিল তাও মনে করতে পারে না । মাঝে মাঝে ওর মনে হয় জীবন তাকে অনেক কিছু দিয়েছে । কিন্তু পরক্ষণেই আবার মনে হয় আসলে জীবন তাকে কিছুই দেয়নি । শুধু তার সাথে সব কিছু দিয়ে কেড়ে নেয়ার একটা খেলা খেলে গেছে ।
ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার বাধ্য মেয়ে ছিল মেঘ । পড়াশুনাতেও ভাল ছিল । সবার চোখের মণি ছিল সে । গার্লস স্কুলে পড়ার কারণে কোন ছেলে বন্ধু ছিল না । কলেজে উঠার পর কোচিং এ কিছু ছেলের সাথে পরিচয় হয় । ওরা একই কলেজে পরে । ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব হয় । শুধু মেঘ একানা , রূপা , মনীষা , পায়েল মানে যাদের সাথে মেঘ সবসময় থাকত সবার সাথেই ওদের ভাল একটা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ।
সবার আগে বন্ধুত্ব হওয়ার জন্যই হোক কিংবা অন্য কারণেই হোক , রিফাত এর সাথেমেঘের বন্ধুত্বটা ছিল একটু বেশি । ওর সাথে মোবাইলে কথাও হত বেশি ।
ভিন্ন ধর্ম তাদের বন্ধুত্বে কখনও প্রভাব ফেলে নি । মেঘ তার সব কথা শেয়ার করত রিফাত এর সাথে । রিফাত এর কেয়ারও করত খুব । কিন্তু সে কখনও ভাবেনি যে এই নিষ্পাপ বন্ধুত্বতা , বন্ধুর ভাল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা,বন্ধুকে অনুপ্রেরণা দেওয়া এ সবকিছুর ফলাফল কখনও খারাপ হবে ।
সবকিছু ভালই চলছিল । সেদিন থেকে সবকিছু ঝাপসা হতে শুরু করল যেদিন মেঘ জানতে পারল যে রিফাত তাকে ভালবাসে । কথাটা রিফাতই তাকে বলেছিল কেঁদে কেঁদে । খুব খারাপ লেগেছিল সেদিন তার । তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটি তার জন্য এত কষ্ট পাচ্ছে । সেদিন কান্না ছাড়া আর কিছু বলতে পারে নি মেঘ । রিফাত তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু । কিন্তু তাই বলে..... । ওকে বন্ধু ছাড়া কখনও অন্য কিছু ভাবে নি মেঘ । ভাবতে পারবেও না কখনও ।
প্রথমে মেঘ ভেবেছিল এটা হয়ত সাময়িক ভাললাগা । হয়ত কিছুদিন পরে এমনিতেই সবঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু এ ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগে না তার । রিফাতকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে । এটা কখনও সম্ভব না । অন্য ধর্মের একটা ছেলেকে কখনই মেনে নেবে না তার পরিবার । আর সবচেয়ে বড় কথা সে কখনও রিফাতকে বন্ধুরচেয়ে বেশি কিছু ভাবতে পারবে না ।
এর মধ্যে আরেকটা ছেলে প্রোপোজ করে মেঘকে । নাম অভি , একই কলেজে পড়ে । মেঘ ওকে সরাসরি না করে দেয় । কিন্তু অভি ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে । তাছাড়া কলেজে প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকা , ছুটির পর দাঁড়িয়ে থাকা , বাসার সামনে ঘুরাঘুরি করা ইত্যাদি তো আছেই । প্রথম প্রথম মেঘ একদম পাত্তা দিত না ।সবার কাছে শুনেছে অভি ছেলে হিসেবে ভাল । দেখতে ততটা সুন্দর নয় , তবে মেঘ ওকে এ কারণে না করেনি । বাহ্যিক সৌন্দর্যকে কখনও মেঘ গুরুত্ব দেয় নি ।
একদিন অভি মেঘকে কল করে । অনেক কথা বলে । মেঘ বুঝতে পারে যে অভি ওকে সত্যিই অনেক ভালবাসে । কিন্তু তবুও ও অভিকে না করেদেয় । বলে যে তার পক্ষে রিলেশন করা সম্ভব না ।
অনেক দিন কেটে যায় । যেদিন থেকে মেঘ জানতে পারে রিফাত ওকে ভালবাসে সেদিন থেকে সে রিফাতের সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয় । আগের মত এত কথাও বলে না । এর কারণ রাগ বা অভিমান নয় , কারণ মেঘ চাইত রিফাত যেন তার প্রতি আর দুর্বল না হয় ।
আবার অন্যদিকে অভি মেঘকে ফোন করে প্রায়ই কান্নাকাটি করত । সঙ্গত কারণেই রিফাত অভিকে পছন্দ করত না । সে চাইত না মেঘ অভির ফোন রিসিভ করুক । মেঘ কোন এক অজ্ঞাত কারণে রিফাতের কথা রাখতে পারত না । অভি ফোন করলে সে রিসিভ না করে থাকতে পারত না । অভির সাথে কথা বলতে ওর ভাল লাগত । ওদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । কিন্তু রিফাত এটা শুনে কষ্ট পাবে বলে তাকে জানাত না ।
এই লুকোচুরি বেশি দিন চলতে পারে নি । একদিন রিফাত জেনে যায় একথা । মেঘের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে , অনেক কষ্ট পায় । মেঘকে সে বার বার জিজ্ঞেস করে যে তার বারণ করা সত্ত্বেও কেন মেঘ অভির ফোন রিসিভ করল ? মেঘ কোন উত্তর দিতে পারে না । শুধু নীরবে কাঁদে । কি উত্তর দিবে সে ? সে নিজেও তো জানে না কেন সে অভির সাথে কথা বলে ।
এ প্রশ্নের উত্তর সেদিন খুঁজে পেয়েছিল মেঘ যেদিন রিফাত তাকে কসম দিয়ে বলে যে যদি সে অভির ফোন রিসিভ করে তাহলে সে পৃথিবী থেকে চিরদিনের মতচলে যাবে । একটা কথাও সেদিন মুখ থেকে বের হয়নি তার । শুধু চোখ থেকে অশ্রু নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়ছিল । সেদিনের পর সে বুঝতে পেরেছিল যে তার মনে তার অজান্তে অভি কতটা জায়গা করে নিয়েছিল । কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস । যে ভালবাসা তার হাতে এসে ধরা দিয়েছিল ,তাকে সে ধরতে পারে নি ।
প্রায় ২ বছর হয়ে গেছে মেঘ অভির সাখে কোন কথা বলে নি । সেদিন শুধু অভিকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিল সে ।নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে ভাল রাখার জন্য নিজের ভালবাসাকে নিজের হাতে ধ্বংস করে দিয়েছিল সে ।
তবে এ ঘটনার পরে রিফাতের সাথেও সে ভালভাবে কথা বলতে পারত না । রিফাতকে কখনও কিছু বলে নি সে । কিন্তু রিফাতের উপর মনে মনে একটা রাগ জমে ছিল । নিজের অজান্তেই কথায় কথায় রিফাতের সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেলত সে ।
এইচ.এস.সি র পর রিফাত মেডিকেলে চান্স পেয়ে যায় । মেঘ রিফাতের সাথে যোগাযোগ মোটামুটি বন্ধ করে দেয় । কিন্তু অভির কথা একমূহুর্তের জন্যও ভুলতে পারে নি সে । অভি মেঘের সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছিল । শুনেছে এখন নাকিঅভির ফ্যামেলি ঢাকায় চলে গেছে ।
এসবের কোন কিছুই মেঘ কখনও কাউকে বলে নি । তার বান্ধবীদের কেউও জানে না । মন খারাপ থাকলেও কাউকে বুঝতে দিত না সে ।সবসময় হৈ হুল্লোর করে কষ্টগুলোকে ঢেকে রাখত ।
তারপর একে একে সবাই আলাদা হয়ে যায় । মেঘ পুরোপুরি একা হয়ে যায় । তখন থেকে আনন্দ জিনিসটা হরিয়ে যায় তার জীবন থেকে । নিঃসঙ্গতা আর অভির কিছু স্মৃতিআজ তার সবথেকে প্রিয় সঙ্গী । একটু একটু করে বুকে জমতে থাকা কষ্টগুলো মাঝে মাঝে ঝেরে ফেলতে ইচ্ছে করে তার । কিন্তু চোখের জলে তার বিন্দুমাত্রও কমে না ।
মধ্যরাতে নির্ঘুম চোখে মেঘ প্রায়ই ভাবে যদি সে আকাশের মেঘ হতে পারত , বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তো পৃথিবীর বুকে , তারপর মিশে যেত মাটির সাথে । খুব ইচ্ছে করে তার আকাশের মেঘ হতে , খুব ইচ্ছে করে ।
.................---¬¬¬¬---..............¬.¬.¬
এই সময়ে ২/১৪/২০১৩ ১০:০৮:০০ PM 

বিষণ্ণ বিকেলে লিখেছেনঃ-Ami Sopnil

ღবিষণ্ণ বিকেলেღ
ღভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ গল্প-০২ღ
বিষণ্ণ বিকেলে
লিখেছেনঃ-Ami Sopnil

এই শুভ তুমি আমাকে বাসায় দিয়ে আসবা প্লীজ? আমার খুব জ্বর জ্বর লাগছে,একা যেতে পারব না,মম কাতর স্বরে জিজ্ঞাসা করল শুভকে।আচ্ছা তুমি-তো রিতু কে নিয়ে যেতে পার,আমি গেলে একটু কেমন দেখায় না? ইতস্তত হয়ে শুভ জবাব দেয়।শুভর জবাবে হতাশই হতে হয় মমকে।আচ্ছা এই ছেলেটার অনুভূতি বলতে কি কিছুই নেই?কারও জ্বর আসছে শুনলে তো কপালে হাত দিয়ে অন্তত দেখে।এটাও কি বুঝিয়ে দিতে হবে,ভাবে মম।তার জ্বরটর কিছুই না।আজ ১৪ফেব্রুয়ারি ইচ্ছে শুভর সাথে রিক্সায় একটু ঘুরে বেড়াবে।কলেজে ভর্তির সেই প্রথম দিন থেকেই এই অদ্ভুত ছেলেটাকে ভালবেসে বসে আছে সে।ও যেমন হাসি খুশি শুভ ঠিক তার উল্টো,সে চুপচাপ থাকতেই বেশী পছন্দ করে।তাই মমকেই নানা অজুহাতে গিয়ে কথা বলতে হয়।ক্লাস নোট নেয়া,স্যার কি পড়াল,পিকনিকে যাবে কিনা,কলেজে আসেনি কেন নানা অজুহাতে গায়ে পরে কথা বলতে হয় তার।কি আর করা ক্লাসের সবাই বুঝলেও যে বুঝার সেই যদি না বুঝে।রিতু তো প্রায়ই বলে বাদ দে তো ওই বলদটার কথা,কত ছেলে পরে আছে তোর জন্য আর তুই কিনা ওই হাবাগোবা বলদটাকে নিয়ে আছিস।মম কাউকে বুঝাতে পারেনা।ছেলেটার গম্ভীর হয়ে চুপচাপ থাকাটাই যে ওর বেশী ভাল লাগে।ভাল লাগে ছেলেটা যখন এলোমেলো চুল নিয়ে ক্লাস এ এসে একটা কোনায় বসে থাকে,টিফিন পিরিয়ডে মাঠের এক কোনায় বসে আকাশ দেখে।ইচ্ছে করে গিয়ে বলতে,এই আমাকে তোমার আকাশটা দিবে?
রিতু তার বয়-ফ্রেন্ড এর সাথে ঘুরতে যাবে,সো তোমাকেই যেতে হবে বলে রিক্সা থামায় মম,শুভর হাত ধরে টেনে রিক্সায় উঠায়।এই তুমি রিক্সার পাশঘেষে আছ কেন?আমার ছোঁয়া লাগলে কি তোমার কুষ্ঠ হবে?? বলে হাঁসতে থাকে মম।লজ্জায় শুভর গাল লাল হয়ে যায়।মমর ইচ্ছে করে ছেলেটার গাল ছোঁয়ে সব লজ্জা ভেঙ্গে দিতে কিন্তু কি আর করা এমন একটা ছেলেকে সে ভালবেসেছে তার কাছে যদি বলা হয় আমার না রাতে ঘুম হয়না,খেতে ইচ্ছে করেনা,খালি উদাসী হয়ে যাই,মন খুব খারাপ থাকে,কি করব বলত? সে নিশ্চিত বলবে তো আমি কি করব,ডাক্তার দেখাও।মমর অনেক ইচ্ছে ছেলেটার হাত ধরে রেল লাইনে হেটে দিগন্তে হারিয়ে যেতে,বাদল দিনে এক ছাতার নিচে গা ঘেঁসে অনেক টা পথ হেটে যেতে মাঝে মাঝে মাথার উপর থেকে ছাতা সরিয়ে দিবে বৃষ্টি ভিজবে বলে।জোছনা রাতে সাগর তীরে শুভর কোলে মাথা রেখে জোছনা পোহাবে আর বিয়ের পর দুজন মিলে ভুত এফ এম শুনবে।ভুতের ভয়ে যখন মমর শরীর থরথর করে কাঁপবে তখন শুভ দুহাতে শুক্ত করে তার বুকে জড়িয়ে রাখবে,মম তখন শুভর বুকে মাথা রেখে নিঃচিন্তে ঘুমিয়ে পরবে।মম সব সময় নিজে রান্না করবে আর ওরা একি প্লেট এ একসাথে খাবে এজন্য মা রান্না ঘরে আসতে দিতে না চাইলেও সে রান্না শিখছে।এখন অনেক কিছুই বানাতে পারে সে।একদিন শুভর জন্য তার প্রিয় খাবারটা রান্না করে নিয়েও এসেছিল কিন্তু সেদিন শুভ কলেজে আসেনি।সেদিন যা কান্না করেছিল মম।আজ ভালবাসা দিবস,সবাই যার যার মত ভালবাসার মানুষের সাথে ঘুরতে বের হয়েছে তারও ইচ্ছে ছিল শুভর সাথে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু শুভকে বললে তো সে আর যাবে না তাই জ্বরের অভিনয়টা করতে হল।সেতো একটা মেয়ে,আর একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছেলেকে প্রপোজ করবে।সে যদি না করে দেয়,আর কথা না বলে,এমনিতেই ফাজিল তিথি শুভর সাথে টাঙ্কি মারার চান্স এ থাকে।ওর কাছে থেকে নোট নিয়ে যায়,রাতে ফোন দেয়,সারাক্ষণ শুভর আশপাশে থাকার চেষ্টা করে।দেখে মাঝে মাঝে গা জ্বলে যায় মমর।কিন্তু কি করবে সে কান্না করা ছাড়া।এসব ভাবতে ভাবতেই বাসার সামনে চলে আসে ওরা।পথে তেমন কোন কথাও হয়না।শুভ বাসায় আস,আম্মুর সাথে দেখা করে যাও বলে মম।আরেক দিন যাবে বলে হাটা শুরু করে শুভ।পাশেই ওর বাসা হেটেই যাওয়া যায়।শুভর চলে যাওয়া দেখে মমর মনে হচ্ছিল হৃদয়ের একটা বড় অংশ যেন ওর কাছ থেকে দুরে হারিয়ে যাচ্ছে,মনে অসাড় একটা অনুভূতি।কি করবে বুঝতে পারছিল না সে।দম বন্ধ হয়ে আসছে মমর,কিছুতেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না,ভীষণ কান্না পাচ্ছে ।সে কি আবার শুভ কে ডাকবে? শুভ একা যেও না আমাকেও সাথে নিয়ে যাও প্লিজ?আমার পৃথিবী যে এখন তোমাকে ঘিরে ।
বাসায় এসে শাওয়ার নিতে নিতে অনেক কাঁদল সে,কিছুতেই কান্না থামাতে পারছিল না,এমন কেন হচ্ছে,ও তো ভালই ছিল,কেন ভালবাসতে গেল,সে তো কার জন্য কাঁদতে চায় না,চায় না কারো ভালবাসায় হারাতে তবুও এমন কেন হয়।বালিশে মাথা গুজে কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল।
ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় আসল সে।বিষণ্ণ বিকেল।এই সময় টা ওর মন খারাপ থাকে খুব,নিজেকে খুব একা মনে হয়।ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলেও মন কিন্তু আর ভাল হয়না।রাতের ঘুম নাই হয়ে গেছে সেই কবে।নিজেকে ইদানীং জম্বি জম্বি লাগে তার,সাজতে ইচ্ছে করে না,কার জন্য সাজবে সে? কত দিন শপিং করে না।শপিং এ গেলে খালি শুভর জন্য টি শার্ট কিনতে ইচ্ছে করে,শুভর জন্য অনেক গুলো কিনে রেখেছে কিন্তু দিতে পারেনি ভয়ে,যদি ফিরিয়ে দেয়।বন্ধুদের সাথে আড্ডাও এখন পানসে মনে হয়।বই মেলায় যাবে যাবে করেও যাওয়া হচ্ছে না।
ক্ষুধা লেগেছে, ফ্রিজ থেকে খাবার বের করতে গিয়ে শুনে ওর নামে একটা গিফট এসেছে। কে দিতে পারে ভাবতে ভাবতে গিয়ে প্যাকেট টা হাতে নিল দেখে।নাম নেই।প্যাকেট খুলে দেখে অনেক সুন্দর একটা ব্রেসলেট।জিনিশটা অনেক পরিচিত লাগল। নিচে একটা ছোট্ট চিরকুট।লিখা মম প্রথম তোমাকে যেদিন দেখি কলেজে ভর্তি ফর্ম নেবার সময়,সেদিন তোমাকে মোটেও আমার ভাল লাগেনি।একটা মেয়ে এতটা চঞ্চল হয় কিভাবে? আমার যে চুপচাপ শান্ত মেয়ে ভালো লাগত। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন তুমি যখন আমার সামনের কোনে বসে চুপচাপ পরীক্ষা দিচ্ছিলে তখন আমি পরীক্ষা ভুলে তোমার দিকে স্মমোহনের মত তাকিয়ে ছিলাম।সেদিন থেকে তোমার কথা বলা,বন্ধুদের সাথে তর্ক,তোমার হাসি, তোমার স্নিগ্ধটা, তোমার সব কিছুই আমার আমার ভীষণ ভাল লাগতে শুরু করে।তখন আমার মনে হয়েছিল তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না।তোমার হাত ধরে তোমার কথা শুনেই সারাটা জীবন আমি কাটিয়ে দিতে পারব।আমি জানিনা তুমি আমাকে কতটুকু পছন্দ কর বা সেটা শুধু ক্লাসমেট হিসেবেই নাকি অন্য কিছু সেই ভয়ে কখনো বলা হয়নি।আমার যে হারাবার ভয় বেশী।আচ্ছা ব্রেসলেট টা পছন্দ হয়েছে?মনে আছে আমারা সব ক্লাস মেটরা সেদিন বসুন্ধরা সিটি গিয়েছিলাম,একটা দোকানে তুমি ব্রেসলেট টা পছন্দ করেছিলে,টাকা ছিল না বলে কিনতে পারনি,সেদিনই আমি কিনে রেখেছিলাম কিন্তু ভয়ে দিতে পারিনি যদি আমাকে ফিরিয়ে দাও,যদি জিজ্ঞেস কর কোন অধিকারে তোমাকে দিতে গেলাম।মম কত রাত যে কেটে গেছে তোমার ভাবনায়।প্রতিটা মুহূর্তে ভাবি শুধু তোমায়। তুমি যদি সামনে থাক তাহলে আমার পৃথিবী আলোকিত থাকে,চলে গেলেই মন খারাপের দেশে হারিয়ে ফেলি নিজেকে।মম এর নাম যদি ভালবাসা হয়,মনের অজান্তে আমি তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি।আমি জানিনা না তোমাকে পাব কিনা তবুও আমি তোমার বাসার নিচে অপেক্ষা করছি প্লিজ একটু আস।নাইবা ভালবাসলে তবুও আজকের মত তোমাকে দেখি।নিচে লেখা নামটা দেখে ভীষণ বিরক্ত হয় মম।সাজেদুল ইসলাম।ক্লাসে সাজেদ নামে দুইজন আছে দুটাই পেইন সারাক্ষণ ভ্যান ভ্যান করে।কোন গাধা টা এটা দিল ভাবছে সে।এই গাধাটা কি জানে না সে যে শুভকে পছন্দ করে? ক্লাসের সবাই যেখানে জানে সেখানে না জানার তো কথা না।নাকি শুভকে যে পছন্দ করে সেটাকে মজা হিসেবে ভেবেছে।এখন নিচে গিয়ে বুঝিয়ে বলে আসতে হবে।কারো ভালবাসা ফিরিয়ে দিতে খারাপ ই লাগবে ওর।
সিঁড়ি থেকে নেমে দেখে টি শার্ট পরা একটা ছেলে উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে পার্কিং লটে,আশে পাশে আর কেউ নেই।ওর দিকে মুখ ফিরে তাকাতেই কি যেন হয়ে যায় মম দৌড়ে ছেলেটার বুকে ঝাঁপিয়ে পরে,দু হাতে শুক্ত করে জড়িয়ে ধরে।মমর প্রথম ভালবাসা আজ পাশে এসেছে।অভিমানে বলে এত দিন বলনি কেন?আমি যে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।আমাকে এত কষ্ট দিতে পারলে তুমি।হতভম্ব ছেলেটা আলিঙ্গন থেকে বের হতে চায়,মম আরও শুক্ত করে জড়িয়ে রাখে।কেউ দেখলে দেখুক।এই ছেলেটা ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছে,সেই শাস্তি আজ তাকে পেতেই হবে।কোন ভাবেই ছাড়বে না সে।এখন মনে পড়ল শুভর ভালো নাম সাজেদুল ইসলাম।অপ্রত্যাশিত আনন্দে মমর চোখে পানি চলে আসে।অবাক হয়ে দেখে লাজুক ছেলেটার চোখেও পানি।এই গাধা তুমি কাঁদছ কেন? শুভ জবাব দেয় আমার বাবুই টা যে কাঁদছে। মমর বিকেলটা এখন আর বিষণ্ণ নেই,মেঘমুক্ত ভালবাসাময়।

এই সময়ে ২/১৪/২০১৩ ১০:১০:০০ PM 

হয়নি বলা ভালোবাসি তোমায় লিখছেন-এহসান আহমেদ

ღহয়নি বলা ভালোবাসি তোমায়ღ
ღভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ গল্প-০৩ღ
হয়নি বলা ভালোবাসি তোমায়
লিখছেন-এহসান আহমেদ

হানিফ পরিবহন এর বাসে বসে ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছি । জীবন এ কখনই এত দূর যাওয়া হয় নি । খুয়েট এ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খুলনা যাচ্ছি তো , আসলে জীবন যুদ্ধে পদার্পণ করতে যাচ্ছি তাই কিছুটা ভয় লাগসে । কিন্তু কখনও ভাবি নাই যে এই জীবন যুদ্ধের মাঝে যে আমার জীবন টা বদলে যাবে ?
সকাল ৭ টার বাস তাই সকাল সকাল এ বাবা মার কাছ থেকে দুয়া নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে আমার বাস এ উঠার কথা তাই বাস ছাড়ার আধা ঘণ্টা আগেই বাস কাউন্টার এ এসে পরলাম । যেহেতু আমি আজ অনেক নার্ভাস তাই সিগরেট টা কেন যেন তাই একটু বেশি খাচ্ছিলাম । বাস কাউন্টার এর পাশে একটা চায়ের দকান ছিল তাই ওখানে দারিয়ে আনমনে সিগরেট টা টানছিলাম , হটাত একটা ডাকে পেছনে তাকালাম , দেখলাম একটি মেয়ে আমাকে বলছে “ ভাইয়া হানিফ পরিবহন এর বাসের কাউন্টার কোনটা ? আমি কিছুটা অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে চেয়ে ছিলাম , মেয়ে টি আবার জিজ্ঞাস করল ? আসলে আমি ছোটবেলা থেকে মেয়েদের পচাতে ভালবাসি , এবার ভাবলাম কি আজিব মেয়ে তার চোখের সামনেই কাউন্টার কিন্তু সে দেখতেই পারছে না, তখন আমার মন চাইছিল মেয়েটার সাথে একটু দুষ্টামি করতে কিন্তু কেন জানি মেয়েটার নিস্পাপ চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা বলতেই পারলাম না তাই বাধ্য হয়ে বলে দিলাম যে কাউন্টার টি আমার পিছনে । তখন মেয়েটি মিষ্টি একটি হাসি দিয়ে বলল সরি ভাইয়া “আমি না আসলে এরকম ই চোখের সামনেই সবই থাকে কিন্তু দেখেও চিনতে পারি না”
আমি বললাম হা এটা অবশ্য একটি ভাল দিক ই বটে , মেয়ে টি আর কোন কিছু জিজ্ঞাস না করে কাউন্টার এর বেতর চলে গেল আমিও বাস এর অপেক্ষায় দারিয়ে আছি ।
একটুখন বাদেই খুলনার বাস এসে গেল, আমিও যথারিতি আমার সিট এ বসে পরলাম। এরপর যা হল সেটা কল্পনাতেও কখনও ভাবি নাই ! দেখলাম সেই মেয়েটি আমি যে বাস এ যাচ্ছি সেই বাস এ উঠছে এবং একসময় মেয়েটা আমার পাশের সিট এ এসে বসলো ! আমি চুপ চাপ ভদ্র ছেলের মত বসে রইলাম ! আমি বাইরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে সব দেখসি হটাত মেয়েটা বলল “সবকিছুই কত দ্রুত ছুটে চলসে তাই না” আমি বললাম হাঁ তা তো অবশ্যই সবকিছুই খুব দ্রুত ছুটে চলছে, আমি আপনি সবাই ! তারপর মেয়েটা একের পর এক কথা বলেই যাচ্ছিল আর আমি যেন কেন টা খুব অবাক হয়ে সুনসিলাম আর ভাবসিলাম এমন মেয়েও হয় পৃথিবীতে ? যে কিনা এক মুহূর্তের মধ্যে কাওকে আপন করে নিতে পারে ! আসলে আমার ও কেন জানি মেয়েটার সম্পরকে জানতে ইচ্ছা করছিল তাই আমিও তার সাথে কথা বলা শুরু করে দিলাম , কথায় কথায় জানতে পারলাম মেয়েটার নাম সোহানা , উত্তরায় থাকে এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এ পরে , মেয়ে টা বলল তার কোন মা নাই, ছোট বেলায় তার মা মারা যায় তাই তার বাবা আর একটা বিয়ে করে কিন্তু তার সৎ মা তাকে একদম এ দেখতে পারে না । এছারা সে আর অনেক কথাই বলল যেগুলো বলতে পারলাম না। সে আজ তার নানুর বাড়ি যাচ্ছে যশরে তার মামার বিয়েতে ! যেতে যেতে পাটুরিয়া চলে এলাম , চরম যানজট থাকায় ফেরিঘাট এ ৬ ঘণ্টার ও বেশি সময় লেগে গেল। এর মধ্যে মেয়েটার সাথে আরও অনেক কথাই হল সে আমার সব কিছু জানতে চাইল , কি করি কই থাকি আর কত্ত কি। আমি বার বার কেন যেন তার প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকি , অনেকে বলতে পারেন যে বাস এর মধ্যে কোন মেয়ের সাথে কয়েক ঘণ্টার পরিচয় ! এর মাঝে কি তার সাথে কি প্রেম এ পরা যায় ? যারা এই প্রশ্ন টা করবেন তাদের বলছি > আমি কখনও কারও প্রেম এ পরি নি , প্রেম কি জিনিস সেটা হয়ত বুঝি না কিন্তু এটুক বলতে পারি কারও প্রেম এ পরতে হয়ত বেশি সময় লাগে না ।
যাই হোক আমাদের বাস ছুটে চলসে গন্তব্বের উদ্দেশে সাথে সাথে আমারাও । রাস্তা যত ফুরিয়ে আসছিল আমার বুকের বেতর টা যেন কেমন লাগসিল, আমি আনমনে তার ভাবসি আর সে অনরগল বলেই যাচ্ছে। হটাত মেয়েটা চুপ আমি, তার দিকে তাকাতে দেখি সে আমার দিকে চেয়ে আছে । আমাকে জিজ্ঞাস করল আপনার কি মন খারাপ ?? আমি বললাম না তো , সে বলল তাহলে চুপ করে কি ভাবছেন ? আমি বললাম কাওকে হারাবার প্রহর গুনছি ! জানেন মেয়েটা আর কোন কথাই বলে নি বাকি সময় টা জুড়ে। আমি বাইরের জানালার দিকে তাকিয়ে ছিলাম , একাবার লক্ষ করে বুজেছি যে মেয়ে টা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন প্রায় বিকাল এবং বাস টা প্রায় এর যশোর এর কাছাকাছি । একসময় বুজলাম মেয়েটা ঘুমাচ্ছে আমার কাঁধ এ মাথা রেখে। আমি আর কিছু বললাম না কিন্তু কেন জানই খুব ভাল লাগছিল ও অনেক খারাপ ও লাগছিল। যাইহক একসময় বাস টা যশোর এসে পরল, যশোর এর যাত্রী রা সবাই বাস থেকে নামছিল কিন্তু সে তখন ও অঝর ঘুম এ মঘ্ন আমার কাঁধ এ মাথা রেখে । আমি তার ঘুম ভাঙ্গালাম , সে নিজেকে আমার কাঁধ এ পেয়ে অনেকটা লজ্জা পেল,আমাকে সরি বলল।আমি তাকে বললাম its ok । সে তার ব্যাগ নিয়ে বাস থেকে নেমে যাচ্ছিল , কেন জানি বার বার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছিল , আর আমার মনটা তত বার এ দুকরে কেঁদে উঠছিল, মন বলছিল এই দেখাই কি শেষ দেখা ? আর কি দেখা হবে না , আর কি কোনদিন তার কাছ থেকে এইভাবে তার কথা সুনতে পারব না ? কখনও কি সে আমার কাঁধ এ মাথা রেখে ঘুমাবে না ??? আমি কি তার প্রেম এ পরেছি নাকি এ শুদুই অনুভূতি ?? যদি তাই হয় তবে সে কেন পেছন ফিরে তাকাল ?? আমি তার চোখে দেখেছি কাওকে ফেলে যাওয়ার কষ্ট! আমি না আজ ও রাতে ঘুমতে পারি না ? বার বার তার ওই নিষ্পাপ মুখখানি আমার চোখে ভেসে আসে ? কেন আমি তাকে ভুলতে পারি না ? সে কি কি আমার মত কষ্টে আছে ? সে কি আমার কথা ভাবে ? আমি আজও তার অপেক্ষায় আছি , আজ প্রতিদিন বাস এ তাকে খুজি আর ভাবি কখন সে আমার পাশের সিট এ এসে বসবে ?
তাই তো আজও রাতে কাঁদি একা একা আর বলি “হয়নি বলা ভালোবাসি তোমায়” !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!