Friday, March 17, 2017

আলাপন

আলাপন
আলাপন
লিখেছেন-শায়েরী রায়

- তোমরা এত খারাপ কেনো বলোতো?
- কি ভুল হলো আবার!
- তুমি আমার একার হয়ে থাকতে পারোনা!কেনো অন্য মেয়েদের দিকে তাকাও?
- ও।
- ও কি!আমি মিথ্যা বলি নি।আমি খুব করে খেয়াল করেছি।সুন্দরের পূজারী বুঝলাম,তাই বলে সুন্দরীদের দিকে ভ্যাবলার মতো তাকায় থাকবা?
কি চুপ কেনো?
- না বলো শুনছি।
- তোমার জন্য শুধু চুল একপাশে মেলিয়ে আসি,বিন্দু টিপটা কি খেয়াল করেছো কখনো!কিংবা হাতে কাঁচের চুড়িগুলো?
এগুলো বলতে ইচ্ছা করেনা,আজ বাধ্য হয়ে বলছি।
- কই দেখি?
- ঢং করবানা!তোমার সব ঢং আমার চেনা। সুন্দরী মেয়ে দেখলেই হলো,তবে কেনো পিছু নিয়েছিলে। কেনো বলেছিলে বাঁচবেনা আমাকে ছাড়া।এখন সব ফুরিয়ে গেছে তাইনা?
খুব বিরক্তি লাগে।ন্যাকামো লাগে। তাহলে কে বলেছিলো ন্যাকামোকে আশ্রয় দিতে?
- কাজল ছড়িয়ে যাচ্ছে!কিছুক্ষণ বাদে পেত্নী লাগবে, ঠিক করো।
- লাগুক পেত্নী। পেত্নীর সাথে প্রেম করতে হবেনা। যাই আমি। তুমি বসে বসে সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণ করো।
- আহা শুনো না, একটু বসো। অনেক রোঁদ! এই রোঁদে পিছু নিতে গেলে হাঁপায় যাবো।
- বলছেটা কে পিছু নিতে?
- আরে! ঐ!

ক্রিং ক্রিং..ক্রিং ক্রিং....ক্রিং ক্রিং.......
- হ্যালো..
- ঐ একটু বের হওনা। খুব ক্ষুদা পাইসে। চলো হোটেল থেকে কিছু খেয়ে আসি নাহলে কিছু বানায় আনো।
- আমি কি তোমার চাকর নাকি আর তোমাকে না বলেছি বাসায় ফোন দিতে না। বাবা যদি ধরতো ফোনটা?
- ঔ হিটলারকে ভয় পাই নাকি?
- খবরদার হিটলার বলবেনা! আর সময় মতো দেখবো সাহস কতোখানি আপনার।
- আচ্ছা বাদ দাও। বের হওনা একটু।
- পারবোনা।
- তাইলে আর কি। ঐ কথাই। রাণী ভুখা রাখতে চাইলে প্রজার কি দুঃসাহস!
- এখন এতো ভাল ভাল কথা বের হচ্ছে ব্যাপার কি?
- আরে সকালবেলা এক পাখি লোভ দেখাইয়া, হাতের নাগাল থেকে বের হয়ে গেলো।খাচার পাখি আমার!
আটকায় রাখতে হবেনা!
- ইশ্! কতো পাখি আশেপাশে, যাকে ইচ্ছা ধরো না!
- নাহ্। এক পাখিই ওলোটপালোট করে মারছে। আর লাগবেনা।
- ও। খুব জ্বালায় না?
- জ্বালায় মানে! কি সাবধানে রাখতে হয় জানো। কখন কে না কে শিকার করে ফেলে। শান্তিমতো একটু আদরও করতে পারিনা। চোখে চোখে রাখতে হয়!
পাখির রূপ যে কতো, পাখি নিজেও বুঝেনা। কিচিরমিচির করলেও যে শ্রবণসুখ পাই, সে বুঝেনা! কিভাবে বুঝাই বলোতো?
- অন্য পাখিদের দিকে তাকাবেনা!
- আরে কই আর তাকাই! একটু জ্বালা দিয়ে দেখি পাখি আমার জন্য ছটফট করে কিনা।
- ও তাহলে পাখিও বুঝায় দিবে জ্বালা কাকে বলে।
- আরে থাক থাক, এমনেই বুঝি! প্রতিদিন কতো প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হয় জানো।
বেড়ি লাগায় দিতে হবে পায়ে। উড়ার দেওয়ার পায়তারা করে শুধু। আর এদিকে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়।
- হইসে, আর ঢং করতে হবেনা।
- ঢং। ও আচ্ছা না বললে লুকাই আর সব বলে দিলে ঢং?
- হুম ঢং ই তো। কবি সাহিত্যিকরা বলে মেয়েরা ছলনাময়ী, ঐটা আসলে তোমরা!
- সব যদি বলেই দিই তবে তুমি বুঝে নিবে কোনটা?
- না বললে আমি বুঝবো কিভাবে। আমি মনোবিজ্ঞানী না!
- আমি যে সব বলতেও পারিনা!
- (দীর্ঘশ্বাস) তোমার না ক্ষুদা লাগসে?
- হুম
- কই তুমি?
- তোমার লেবু মিয়ার দোকানে। ব্যাটা তোমার ব্যালকনির সামনে আমার পায়চারি দেখে সন্দেহ করছে!
- কোনদিন যে বিপদে ফালাবা!
- হে হে হে। জলদি বের হও।
- হুম, কি খাবা বলো?
- ইয়ে মানে একটু ভাল্লুবাসাহ দিও! হা হা হা...
- কচু দিবো! ( মৃদু লাজুক হাসি) —
এই সময়ে ৮/২৮/২০১৩ ০১:০০:০০ AM 

No comments:

Post a Comment